নিজস্ব প্রতিবেদক, রামুঃ
রামু পাবলিক লাইব্রেরীকে মেধাচর্চার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। আলোকিত মানুষদের নিয়ে, আবারও পুরোদমে সরগরম হয়ে উঠবে এই মেধাচর্চার কেন্দ্রটি। আপনাদের মতো আলোকিত মানুষরা পাশে থাকলে, অচিরেই রামুবাসি পাবে প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক একটি লাইব্রেরী। নতুন প্রজন্মকে আলোকিত মানুষ করার জন্য সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে। আমি ভালোর পক্ষে আছি। আপনারা আছেন বলেই আমি আছি। সোমবার (১৯ জুলাই) রাত ৮টায় রামু পাবলিক লাইব্রেরীতে অনুষ্ঠিত সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা এ সব কথা বলেন।
রামু পাবলিক লাইব্রেরীর সভাপতি ইউএনও প্রণয় চাকমার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মজিবুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তৃতা করেন, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) রামু উপজেলার সভাপতি মাষ্টার মোহাম্মদ আলম, নাইক্ষ্যংছড়ি হাজী এম এ কালাম সরকারি কলেজের অধ্যাপক নীলোৎপল বড়ুয়া, রামু প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি খালেদ শহীদ, রামু ল্যাবরেটরি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাহাবুবুল আলম, রামু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সুমথ বড়ুয়া, শিক্ষানবিশ আইনজীবী ইমরানুল হক প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, রামুর আলোকিত মানুষরাই প্রতিষ্ঠান করেছিলেন এই পাবলিক লাইব্রেরী। এই লাইব্রেরীর প্রতিটি ধুলোকণায় মিশে আছে তাদের শ্রমের সার্থকতা। এটি এখন ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ। এই পাবলিক লাইব্রেরীকে আধুনিকতার ছোঁয়ায়, আবারও পূণঃজীবিত করতে হবে। লাইব্রেরী হলো শ্রেষ্ঠ আত্মীয়, যার সাথে সর্বদাই ভালো সর্ম্পক থাকে। আলোকিত মানুষের সব জ্ঞান জমা থাকে বইয়ের ভেতরে। বই হলো অন্তহীন জ্ঞানের উৎস। জ্ঞানের উৎসকে সমৃদ্ধ করতে হবে। রামু পাবলিক লইব্রেরীকে সমৃদ্ধ করতে হবে। ইউএনও প্রণয় চাকমা বলেন, রামু পাবলিক লাইব্রেরীকে সমৃদ্ধ করবো, রামুর আলোকিত মানুষদের নিয়ে। প্রজন্মকে লাইব্রেরীমুখী করতে উদ্যোগ নেয়া হবে। রামু পাবলিক লাইব্রেরীর সামনে নান্দনিকতার স্থাপনাশৈলীতে ‘মেধাচত্ত্বর’ নির্মাণ করা হবে। ওই মেধাচত্ত্বরে বসে প্রকৃতির নির্যাস নিতে নিতে, পড়বে বই পাঠকরা। সংস্কৃতিকর্মীরাও মেধাচত্ত্বরে বসে, তাদের চর্চাকে পরিশীলিত করতে পারবে। তিনি বলেন, আমাদের ভাল মানুষ হতে হবে। ভাল মানুষ হতে হলে, বই পড়ার বিকল্প কিছুই নেই। যত বই পড়বে, ততই শিখবে। ভাল বই নিজেকে সৃজনশীল, নান্দনিক ও সুস্থ বোধ-বুদ্ধি সম্পন্ন হতে শেখায়। পরিপূর্ণ মানুষ হতে গেলে, বই পড়ার কোন বিকল্প নাই। মনের যন্ত্রণা, দুঃখ ঘোচাতেও একটা জগতে যেতে হবে। সেই জগতটা হচ্ছে বইয়ের জগৎ। রামু পাবলিক লাইব্রেরীর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মজিবুল হক বলেন, রামুর কবি-সাহিত্যিকদের বই কিনবো আমরা। রামু প্রত্যেক কবি-সাহিত্যিকদের সৃজনশীল কর্মে পূর্ণতা পাবে, রামু পাবলিক লাইব্রেরী। একই সাথে স্বনামধন্য লেখকদের বইও আমরা সংগ্রহ করবো।