আমাদের রামু রিপোর্ট :
কক্সবাজারের রামুর গর্জনিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় এবার ভূয়া শিক্ষকের নামে বেতন-ভাতা তুলে ৯০ হাজার সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছে মাদ্রাসার চাকুরিচ্যুৎ অধ্যক্ষ ও পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি, এমন অভিযোগ তুলে সম্প্রতি আত্মসাতের বিষয়ে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন মোহাম্মদ আয়ুব নামের এক ব্যাক্তি।
লিখিত আবেদনপত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন, গর্জনিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ ওবাইদুল হাকিম ফৌজদারী মামলায় সাজা হওয়ার কারণে চাকুরিচ্যুৎ হয়েছেন এবং তাঁর চাকুরিচ্যুতির আদেশ আপীল বিভাগের আদেশে (সিএ-২২৬-২২৭/০৭) অদ্যাবধি বহাল আছে।
ওবাইদুল হাকিম ইতোপূর্বে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা মুহিউসুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার সুপার থাকাকালীন ৫/৬ জন ভূয়া শিক্ষকের নামে বেতন ভাতার সরকারি অংশের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করায় দুর্নীতি দমন ব্যুরো বান্দরবান কর্তৃক নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় জিআর ৫২/০৪ মামলা রুজু হয়। যা বর্তমানে বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
মোহাম্মদ আয়ুব আরও উল্লেখ করেন, দুর্নীতি, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের একাধিক মামলায় অসংখ্যবার জেল খাটলেও ওবাইদুল হাকিম তাঁর পুরনো অভ্যাস ত্যাগ করতে পারেননি। এরই ধারাবিহকতায় সম্প্রতি সে জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র সৃজন করে শিক্ষা প্রশাসসনের কর্মকর্তা-কর্মজারীদের যোগসাজসে এক যুগ আগের ইনডেক্স নং-৩২৩৩৬২ সচল করে তার ভাই নুরুল হাকিমকে গর্জনিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার কৃষি শিক্ষক পদে এমপিওভুক্ত করে ও মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আয়ুব সিকদার রামু জনতা ব্যাংক ব্যবস্থাপকের সহায়তায় ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন পূর্বক আত্মসাত করেন।
অভিযোগ প্রদানকারী মোহাম্মদ আয়ুব মুঠোফোনে আমাদের রামু কে বলেন,নুরুল হাকিম নাইক্ষ্যংছড়ি মদিনাতুল উলুম মডেল ইনস্টিটিউট দাখিল মাদ্রাসায় কৃষি শিক্ষক পদে কর্মরত ছিলেন। ওই প্রতিষ্ঠানে চাকরি অবসানের কারণে ২০০৫ সালে এমপিও থেকে তার নাম বাদ দিয়ে তদস্থলে অন্য একজন শিক্ষক নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে এমপিওভুক্ত হন। এর পর দীর্ঘ এক যুগ ধরে তিনি অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি না করার পরও কিভাবে তার ইনডেক্স নং-৩২৩৩৬২ সচল থাকে তা প্রশ্নবোধক। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
জানতে চাইলে মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অভিযুক্ত আযুব সিকদার দাবি করে আমাদের রামু কে বলেন, সমস্ত নিয়ম অনুযায়ী নুরুল হাকিমকে বেতন ভাতা প্রদান করা হয়েছে। তিনি আরও কয়েক মাসের বেতন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ থেকে পাবেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো.আলী হোসেন আমাদের রামু কে বলেন, বিষয়টি তিনি অভিযোগের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। এ বিষয়ে তদন্তপূবর্ক অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।