এম.এ আজিজ রাসেল:
শহরের উপকূলবর্তী নাজিরারটেক মোহনায় সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার পথে দুটি ফিশিং ট্রলারের মধ্যে সংঘর্ষে ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিহত ৬ জেলের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার রাতে ৩ জনের এবং সকালে আরও ৩ জেলের মরদেহ দাফন করা হয় স্ব-স্ব গোরস্থানে। গত রোববার ভোর রাতে কক্সবাজার শহরের নিকটবর্তী নাজিরারটেক মোহনায় দুটি ফিশিং ট্রলারের সংঘর্ষ হয়। এতে এফবি মায়ের দোয়া নামের ট্রলারটি ডুবে যায়। একই দিন সন্ধ্যায় ৬ জেলের মরদেহ ও ৭ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এতে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন এক জেলে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ জানান, নিহত ৬ জেলে হলেন- কক্সবাজার খুরুশকুল ইউনিয়নের রাস্তারপাড়ার তারেক আহমদ (২৬), একই ইউনিয়নের ঘোনারপাড়ার জলসিড়ি আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দা রহমত উল্লাহ (২৮), ফকিরপাড়ার কবির আহমদ (৩৪), কাউয়ারপাড়ার নুরুল কবির (ট্রলার-মালিক আবু তাহেরের ভাই), মহেশখালীর আবুল হোসেন (২৯) ও টেকনাফের জাফর আলম (৪০)। জাফর আলম ও আবুল হোসেন বিয়ের সুবাদে থাকতেন খুরুশকুলের দক্ষিণ ডেইলপাড়ায়। বাকিরা স্থানীয় বাসিন্দা।
স্থানীয় মামুনপাড়ার বাসিন্দা নওশাদ আনাস শান্ত জানিয়েছেন, বোট দুর্ঘটনায় আহত ও নিহত পরিবারের মধ্যে চলছে শোকের মাতম। ইউনিয়নের সর্বত্র নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
নিহত জেলের মধ্যে রাস্তারপাড়ার তারেক আহমদ, রহমত উল্লাহ ও নুরুল কবিরকে রোববার রাতে এবং জাফর আলম, আবুল হোসেন ও কবির আহমদকে সোমবার সকালে স্ব-স্ব পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন। এতে নিখোঁজ রয়েছে নিহত জাফর আলমের ভাই আহমদ কবির।
খুরুশকুল ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আরো জানান, সাগরে মাছ ধরতে ১৪ জন মাঝি-মাল্লা নিয়ে রোববার ভোর রাতে আবু তাহেরের মালিকানাধীন ট্রলারটি রওনা দেয়। পথে নাজিরারটেক এলাকায় দুটি ফিশিং ট্রলারের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
কক্সবাজার সদর থানার এসআই আব্দুর রহিম আমাদের রামু কে জানান, ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটলেও পুলিশ দেরীতে অবহিত হয়েছে। সন্ধ্যায় এ ঘটনা শোনার পর পুলিশ ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজ-খবর নেন। স্থানীয়রা বিভিন্ন ভাবে ঘটনায় নিহত ৬ জনের লাশ উদ্ধার করলেও এখনো একজন নিখোঁজ রয়েছেন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের নির্দেশে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে উদ্ধার হওয়া নিহত জেলেদের লাশ দাফনের জন্য স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন আমাদের রামু কে জানান, ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিহতের বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান তাকে অবহিত করেছেন। তিনি লাশ দাফনের অনুমতি দিয়েছেন। একই সঙ্গে নিহতের পরিবারকে ১৫ হাজার টাকা করে সরকারি অনুদানও প্রদান করা হবে।