তৌফিকুল ইসলাম লিপু:
আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক এবং বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড.হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, মানুষ তার কর্ম দিয়ে মৃত্যুপর পরও স্মরণীয় হয়ে থাকেন। ন্যায় ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য সকল অন্যায়কে পরিহার করতে হয়।
আর এসব ক্ষেত্রে নারী নেত্রী অধ্যক্ষ শারমিনা আফরোজ রেসমিন ছিলেন অনন্য উদাহরণ । ড. হাসান, শারমিনা রেসমিনের স্মরণ সভায় স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, মানুষ উন্নত জীবন যাপন করতে শহরে যায়, আর রেসমিন সকল আয়েশী জীবন পরিহার করে ছুটে এসেছিলেন রামুতে শিক্ষার উন্নয়নে।
শনিবার বিকেলে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে অধ্যাপক সোমেশ্বর চক্রবর্ত্তীর সভাপতিত্বে জসিম উদ্দিন বকুলের সঞ্চালনায় অনুষ্টিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ড. হাছান মাহমুদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজর সদর রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, কক্সবাজারের শিক্ষা, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশ রক্ষায় শারমিনা রেসমিন অন্যন্য ভূমিকা রেখেছেন। আজকের এই সময়েও আমরা শারমিনা রেসমিনের বড়ই অভাববোধ করছি।
মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বলেছেন, দেশের কঠিন সময়কালে কক্সবাজারের পরিবেশ রক্ষায় শারমিনা আফরোজ রেসমিন এগিয়ে এসেছিলেন। একজন নারী হিসেবে সকল প্রতিবন্ধকতাকে ছাড়িয়ে তিনিই কাজ করছেন লোভ লালসার উর্দ্ধে উঠে। তিনি ছিলেন একজন অসাম্প্রদায়িকতার ও মানব কল্যাণ চেতনা সমৃদ্ধ নারী।
স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথির মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ফজলুল করিম চৌধুরী, রামু কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হক, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও মরহুমার চাচা মনিরুল আলম চৌধুরী।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, শারমিনা আফরোজ রেসমিন স্মরণ পরিষদ এর সদস্য সচিব মুহম্মদ নুরুল ইসলাম।
সভায় স্মৃতিচারণ করেন, ফজলুল কাদের চৌধুরী, অধ্যাপক দিলওয়ার চৌধুরী, ডা: বিমল চৌধুরী, অধ্যাপক নিলোৎপল বড়ুয়া।
স্মরণ সভায় শুরুতে অতিথিরা অধ্যক্ষ শারমিনা রেসমিন স্মারক গ্রস্থ ‘নিমগ্ন সন্তাপ’ এর মোড়ক উম্মোচন করেন।