আমাদের রামু রিপোর্ট :
কক্সবাজারের রামুর গর্জনিয়ার যুবলীগনেতা মঞ্জুরুল আলম হত্যা ও আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় দায়েরকৃত পৃথক মামলার প্রধান আসামি, সাবেক শিবির ক্যাডারখ্যাত ও গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম অবশেষে কারাগারে ঢুকেছেন।
রোববার (৪ আগস্ট) সকালে কক্সবাজার সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সিরাজ উদ্দিনের আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পন করে নজরুল জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক তা না মঞ্জুর করেন। এর পর পুলিশ তাকে কারাগারে সোপর্দ করেন। পুলিশ ও বাদী পক্ষের আইনজীবি সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মঞ্জুরুল আলম হত্যা মামলার বাদী সলিমা খাতুন বলেন, ‘গর্জনিয়ার নির্বাচনের আগের দিন তথা ২৭ মে রাতে চেয়ারম্যান প্রার্থী নজরুল ইসলাম তার লোকজন নিয়ে আওয়ামীলীগের মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরীকে হত্যা করতে গেছে এমন খবর মাইকে প্রচার হতে থাকলে আমি ও আমার স্বামী ঘর থেকে বের হয়ে আসি। স্কুলমুড়া থেকে চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে যাওয় মাত্রই আমরা হামলাকারীদের সামনে পড়ে যাই। তখন তারা মঞ্জুরুলের গলায় নৌকার কার্ড ঝুলানো দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে লোহার রড় ও লাঠি দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করতে থাকেন।
বিশেষ করে নজরুল, আবদুল মাজেদ সিকদার ও মোজাফ্ফর নির্যাতন চালায় মধ্যযুগীয় কায়দায়। এক পর্যায়ে গ্রামের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। পরে গুরুত্বর আহত অবস্থায় আমার স্বামীকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। তার অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানেই তিনি এক দিনের ব্যবধানে মারা যান।’
৯ জুন মঞ্জুরুলের স্ত্রী সলিমা খাতুন গর্জনিয়া ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, এর আগে ইউপি চেয়ারম্যান নজরুলের গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।