আমাদের রামু রিপোর্ট:
আজ বৃহস্পতিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস (International Literacy Day)।
সাক্ষরতা দিবস আয়োজন উপলক্ষে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মুস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দেশে ৭১ শতাংশ মানুষ সাক্ষরতা লাভ করেছে। তবে এই পরিসংখ্যান নিয়ে গত ৬ বছর ধরেই সরকার ও বিভিন্ন মহল থেকে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
১৯৯৬ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো ৮ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এরপর থেকে প্রতিবছর দিনটি বাংলাদেশে উদযাপিত হয়ে আসছে। এবছর দিনটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘অতীতকে জানবো, আগামীকে গড়বো’।
২০১০ সালের বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জরিপে দেখা যায়, দেশে সাক্ষরতার হার ছিল ৫৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। এর ৩ বছরের মাথায় ২০১৩ সালে তৎকালীন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী আফছারুল আমীন সাক্ষরতার হার ৭১ শতাংশে পৌঁছেছে বলে দাবি করেন। কিন্তু ঠিক তার পরের বছর মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান দেশের ৬৫ শতাংশ সাক্ষর বলে তথ্য দেন। আবার গতকাল বুধবার (০৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী দাবি করেছেন, ‘দেশে এখন গড় সাক্ষরতার হার ৭১ শতাংশ’।
পরিসংখ্যান বলছে, সাক্ষরতার হার শতভাগে পৌঁছেনি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ জরিপ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালে সাক্ষরতার হার ছিল ৬৪ দশমিক ০৬, ২০১৪ সালে ৬১ দশমিক ১৪, ২০১৩ সালে ৬১ দশমিক ০৪, ২০১২ সালে ৬০ দশমিক ০৭, ২০১১ সালে ৫৮ দশমিক ০৮।
নিরক্ষরতা দূর করতে সরকার ২০০৯ সালের শেষদিকে ৪৫২ কোটি ৫৮ লাখ ৬২ টাকা ব্যয়ে নিজস্ব অর্থায়নে ‘মৌলিক সাক্ষরতা’র নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। দীর্ঘ প্রায় পাঁচবছর অপেক্ষার পর ২০১৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) অনুমোদন পায়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর তত্ত্বাবধানে ওই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ৬৪ জেলার ২৫০টি উপজেলার ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ৪৫ লাখ নিরক্ষরকে সাক্ষর করাসহ জীবনমুখী শিক্ষা দেওয়া হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রকল্পের কাজই শুরু হয়নি।