প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের সাক্ষরতার হার এখন ৭০ শতাংশ এবং এই হার আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। দেশের জনসাধারণকেও সাক্ষরতা বাড়ানোর বিষয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। প্রত্যেকেই নিজ নিজ এলাকায় সাক্ষরতা বাড়ানোর কাজ করলে দেশে এক শতাংশ লোকও নিরক্ষর থাকবে না বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস ২০১৬ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ অনুসরণ করে শিক্ষাকে আমরা অধিকার হিসেবে ঘোষণা করেছি। শিক্ষার মাধ্যমে আমরা জাতিকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে এনেছি। এখন দেশে সাক্ষরতার হার ৭০ শতাংশ। এ হার বাড়াতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’ খবর বাংলাট্রিবিউনের।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি সরকার গঠন করার পর দেশে সাক্ষরতার হার কমে ৪৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছিল। আমরা সে হার বাড়াতে কাজ করেছি এবং ক্রমান্নয়ে বাড়ছে।’
দেশের প্রতিটি অঞ্চলের ছাত্র সংগঠন থেকে শুরু করে সমাজ সচেতন সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা যদি আপানাদের নিজ অঞ্চলে নিরক্ষর মানুষকে সাক্ষরতা দিতে কাজ করেন তাহলে দেশে এক শতাংশ মানুষও নিরক্ষর থাকবে না। নিরক্ষরমুক্ত দেশ গড়তে সাধারণ মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে।’
ছেলেমেয়েদের জন্য বাবা-মাকে এখন আর কষ্ট করে বই কিনতে হয় না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতি বছরই আমরা বিনামূল্যে শিশুদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছি। কারণ তার পরিবার যেন শিশুকে স্কুলে পাঠায়। এছাড়া, শিক্ষার মানোন্নয়নে ২০১০ সালে আমরা অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত ও যুগোপযোগী শিক্ষানীতি ঘোষণা করেছি। সেটাও বাস্তাবায়িত হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছি, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু হচ্ছে। এখন ঝরে পড়ার হার মাত্র ২০ শতাংশ, যা আরও নামিয়ে আনা হবে।’
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্ধৃতি ‘সোনার বাংলা গড়ার জন্য সোনার মানুষ চাই’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সোনার বাংলা গড়ার কারিগর শিক্ষকরাই। আর সোনার মানুষ হতে হলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করতে হবে।’ এজন্য শিক্ষার্থীদের মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এবারের ‘আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস’র স্লোগান ‘অতীতকে জানবো, আগামীকে গড়বো।’
এর আগে আর্ন্তজাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এক শোভাযাত্রা করা হয়। এ শোভাযাত্রায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় মন্ত্রী মুস্তাফিজুর রহমান, সচিব আফিস-উজ-জামান উপস্থিত ছিলেন।