ক্রীড়া ডেস্ক :
দুর্ভাগ্য বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসে অংশ নেওয়া বাংলাদেশী বক্সার সুর কৃষ্ণ চাকমার। আগের রাতে পতাকা বহন করা এই বক্সারের শুক্রবার রিংয়ে নামার কথা ছিলো। শুক্রবার সন্ধ্যায় ফিজির এরিয়া রকবুলির সঙ্গে লড়াই করার কথা তার। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে রিংয়ে দাঁড়াতেই পারলেন না সুর কৃষ্ণ চাকমা। ছিটকে গেলেন সকালে মেডিকেল টেস্ট করতে গিয়েই। এর আগে ২০১৪ সালের গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসের প্রথম রাউন্ডে বাদ পড়েছিলেন এই বক্সার।
গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পতাকা বহন করার কথা ছিলো ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্তের। বাংলাদেশ থেকে এমন প্রস্তুতি নিয়েই যুক্তরাজ্য এসেছিলেন মাবিয়া। এখানে এসে জানতে পারেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মার্চপাস্টে দেশের পতাকা একজন নয়, বহন করতে হবে দু’জনকে। যে কারণে বক্সার সুর কৃষ্ণ চাকমাকে সুযোগ দেয় বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন (বিওএ)।
বার্মিংহামের মাস্টনগ্রিনে ন্যাশনাল এক্সিভিশেন সেন্টারের চার নম্বর হলে লড়াইয়ে নামার কথা সুর কৃষ্ণের। দুইদিন সেখানে অনুশীলন করে রিংয়ে নামার প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন সুর কৃষ্ণ। ফিজির প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জয়ের আশাও করছিলেন তিনি। সে লক্ষ্যে সকালে উঠে মেডিকেল টেস্টে যান এই বক্সার। সেখানে তার রক্ত চাপ বেশি পেলে গেমস কর্তৃপক্ষ তাকে আনফিট ঘোষণা করে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশে দলের চিকিৎসক ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আসলে এটা ওর দূর্ভাগ্য। ইভেন্টের দিন সকালে রুটিন মেডিকেল চেক-আপে ওর উচ্চ রক্তচাপ ধরা পড়ে। এরপর ১৫-২০ মিনিট বিশ্রাম দিয়ে ফের পরীক্ষা করলেও প্রেসার বেশি আসে বলে ওকে খেলতে অনুমতি দেয়নি কর্ত্তৃপক্ষ। পরে ওকে পলি ক্লিনিকে নিয়ে আসলে সেখানকার চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে খানিকটা বেশি পান। এর এক ঘন্টা পর থেকেই ওর প্রেসার কমতে শুরু করে এবং স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যায়। তবে গেমসের নিয়ম অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট সময়ের আগে মেডিকেল টেস্ট উত্তীর্ণ করতে হয়। সেটা তিনি করতে পারেননি।’
আক্ষেপ নিয়ে সুর কৃষ্ণ বলেন, ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে মেডিকেল টেস্ট যখন দেই, তখন কোন সমস্যা হয়নি আমার। অথচ প্রেশার মেপে ডাক্তাররা বেশি পায়। দ্বিতীয়বারের পরীক্ষায়ও বেশি আসলে আমাকে খেলার অনুমতি দেয়নি। অথচ এর কিছুক্ষণ পরেই আমার প্রেশার স্বাভাবিক হয়ে যায়। এটাকে দূর্ভাগ্য হিসেবে আখ্যা দিয়ে দেশের একমাত্র প্রফেশনাল বক্সিংয়ে শিরোপা জেতা এই বক্সার বলেন, কোন নার্ভাসনেস কাজ করেনি আমার মধ্যে। গতরাতে ভাল ঘুম না হওয়ার কারণেই হয়তো এমনটা হয়েছে।
বাংলাদেশের টিম অফিসিয়াল মাসুদ বলেন, ‘দ্বিতীয়বারের মতো সুর কৃষ্ণ কমনওয়েলথ গেমস খেলতে এসেছিল। সাম্প্রতিক সময়ে ওর পারফরম্যান্স ভাল ছিল বলেই ওকে নিয়ে একটু আশা ছিল। তবে প্রেসার বেড়ে যাওয়ায় ওকে খেলতে দেয়া হয়নি।’
সূত্র : বাসস