আমাদের রামু রিপোর্ট :
রামুর গর্জনিয়া সেতু সংলগ্ন বাঁকখালীর ভাঙ্গন পরিদর্শন করেছেন রামু উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ নিকারুজ্জামান। ৯ সেপ্টেম্বর সকালে তাঁরা ভাঙ্গনস্থলে পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে রিয়াজ উল আলম বলেন,গর্জনিয়া সেতুকে দ্রুত কার্যকর করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ নিকারুজ্জামান মুঠোফোনে আমাদের রামু কে বলেন, নদীর গতিপথ পরিবর্তন করেই গর্জনিয়া সেতু সচল করতে হবে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক অবগত রয়েছেন। গর্জনিয়া সেতু রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড তিন কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এই টাকা ছাড় পেলেই কাজ দ্রুত শুরু করা হবে।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে ১৬১ মিটার দীর্ঘ সেতুটি নির্মাণ করে। সেতু রক্ষার জন্য ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে নদীর তলদেশ খনন করে স্রোতের গতিপথ পরিবর্তন করা হয়। পরে পলি জমে ওই অংশ পুনরায় ভরাট হয়ে যায়।
২০১৫ সালের জুন মাসে স্রোতের ধাক্কায় সেতুর দক্ষিণপাশের শাহ সূজা সংযোগ সড়ক বিলীন হলে সেতুটি সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এরপর থেকে সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এ অঞ্চলের লাখো মানুষ।
গর্জনিয়া সেতু দ্রুত সময়ের মধ্যে সচলের দাবিতে ইতিপূর্বে মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন গর্জনিয়ার সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।কিন্তু কাজের কাজ কিছুই না হওয়ায় গর্জনিয়াবাসী চরম হতাশায় হাবুডুবু খাচ্ছেন।এই দুর্ভোগ থেকে অচিরেই পরিত্রাণ চান গর্জনিয়াবাসী।