আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর নিয়ে ক্ষুব্ধ চীন দ্বীপদেশটিকে নানাভাবে শাস্তি দিচ্ছে।
তাইওয়ান ঘিরে চীন সশস্ত্র সামরিক মহড়া শুরুর পাশাপাশি এই দ্বীপদেশটির ওপর একের পর এক বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করে চলেছে।
পেলোসি তাইপে সফর শেষ করে বুধবার বিদায় নেওয়ার পরই চীন নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তাইওয়ানের ওপর। নিষিদ্ধ করেছে বেশ কিছু জিনিসের আমদানি-রপ্তানি।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বুধবার থেকে কংক্রিট তৈরি ও নির্মাণকাজের জন্য ব্যবহার্য বালু তাইওয়ানে রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। পাশাপাশি তাইওয়ান থেকে ফল এবং মাছের মতো পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করেছে।
এর আগে পোলোসির তাইওয়ান সফরের গুঞ্জন চলার সময়ও চীন তাইপেকে হুঁশিয়ার করতে দ্বীপদেশটির ৩৫ বিস্কুট ও পেস্ট্রি রপ্তানিকারকের কাছ থেকে আমদানি বন্ধ করেছিল।
চীনের শুল্ক কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে দেওয়া নিবন্ধনের তথ্যর হিসাবে সে সময় দেখা গিয়েছিল, বিস্কুট, পেস্ট্রি ও ব্রেড ক্যাটাগরিতে নিবন্ধিত ১০৭টি তাইওয়ানি কোম্পানির ৩৫টিই চীনের ‘আমদানি স্থগিতের’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
এবার তাইওয়ান নতুন করে আরেক দফায় বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞায় পড়ল। তাইওয়ান থেকে ফল আমদানি নিষিদ্ধের বিষয়ে চীনের শুল্ক কর্তৃপক্ষ বলেছে, কীটনাশকের উপস্থিতি পাওয়া যাওয়ায় টকজাতীয় কিছু ফলের আমদানি স্থগিত করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি তাইওয়ান থেকে কয়েক ধরনের মাছ আমদানি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে শুল্ক কর্তৃপক্ষ প্যাকেজে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে বলে যুক্তি দেখিয়েছে।
তবে ‘তাইওয়ানে প্রাকৃতিক বালু রপ্তানি স্থগিতের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেনি চীন। তারা কেবল বলেছে, আইন এবং নিয়ম-কানুন অনুযায়ীই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাইওয়ানের আমদানি করা বালুর বেশির ভাগই চীন থেকে আসে।
তবে তাইওয়ানের ওপর চীনের এমন নিষেধাজ্ঞা এটিই প্রথম নয়। এর আগে এবছরের শুরুর দিকেও তাইওয়ানের এক জাতের মাছ আমদানি বন্ধ করেছিল চীন। সেই মাছে নিষিদ্ধ রাসায়নিক পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছিল দেশটি।
তাছাড়া, গতবছর চীন কীটপতঙ্গ পাওয়ার অভিযোগ তুলে তাইওয়ান থেকে আনারস, চিনি এবং ওয়াক্স আপেল আমদানি নিষিদ্ধ করেছিল।
সূত্র : বিডিনিউজ