অনলাইন ডেস্ক :
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের জোয়ারের পানির সঙ্গে ভেসে আসছে শত শত মৃত জেলিফিশ। জেলেদের জালে আটকে মারা যাচ্ছে জেলিফিশগুলো। এমনটি বলছেন সমুদ্র বিজ্ঞানীরা।
এরই মধ্যে জেলিফিশ মারা যাওয়ার বিষয়টি নজরে এসেছে সমুদ্র বিজ্ঞানীদের। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার জেলিফিশ মারা যাওয়ার কারণ জানালেন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আবু সাইয়েদ মো. শরীফ।
তিনি বলেন, ‘জেলিফিশ সাধারণত শীতকালে মারা যায় এবং মৃত অবস্থায় সাগর উপকূলে ভেসে আসে। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে মৃত অবস্থায় ভেসে আসা জেলিফিশগুলো পরীক্ষা করে আমরা দেখেছি, এসব জেলিফিশ জেলেদের জালে আটকে মারা যাচ্ছে। যেহেতু, এতদিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধ ছিল। এখন মাছ ধরা শুরু হওয়ায় জেলেদের জালে আটকা পড়ছে। এছাড়া জেলিফিশ যেহেতু কম সাতার কাটতে জানে, সেহেতু জোয়ারের পানিতে ভেসে এসে সাগর পাড়ে বালুচরে আটকেও মারা যাচ্ছে। সাগরে পরিবেশ বিপর্যয়ের মতো কিছুই হয়নি যে, এতগুলো জেলিফিশ মারা যাবে।’
কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বদরুজ্জামান বলেন, এ সময়ে জেলিফিশ মরার সিজন নয়। হয়তো জেলিফিশ উপকূলের কাছাকাছি এসে জেলেদের জালে আটকা পড়েছে। পরে জেলেরা সেগুলো ফেলে দেওয়ায় মারা গেছে, কিছু জালে আটকেও মারা গেছে। এখন সেগুলো মৃত অবস্থায় ভেসে কূলে আসছে।
এদিকে, বেশ কিছুদিন ধরে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের জোয়ারের সঙ্গে ভেসে আসছে শত শত মৃত জেলিফিশ। সমুদ্রসৈকতের একাধিক পয়েন্টে আটকে পড়ে আছে সেগুলো। সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে অসংখ্য মরা জেলিফিশ বালুতে আটকে থাকতে দেখা গেছে। এসব জেলিফিশের মধ্যে কোনোটা আকারে ছোট, কোনোটা বড়। দেখতে অনেকটা অক্টোপাসের মতো।
সমুদ্রসৈকতের লাবণী, সুগন্ধা, সায়মন বিচ ও দরিয়ানগর পয়েন্টসহ হিমছড়ি পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটারের একাধিক পয়েন্টে জোয়ারের পানিতে শতাধিক মরা জেলিফিশকে ভাসতে দেখা গেছে।
জেলিফিশগুলো সৈকতে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন পর্যটকরা। দুর্গন্ধের কারণে সৈকতে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছেন না তারা। বাতাসের বিপরীত দিকে দাঁড়িয়ে কেউ কেউ সমুদ্র দেখছেন। জেলিফিশগুলো এভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় সৈকতের পরিবেশ দূষণের কথা জানিয়েছেন পর্যটন আবু জাফর।
সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন