স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় বান্দরবানের লামায় পৃথকভাবে নানা কর্মসূচিতে পালিত হয়েছে।
সোমবার (১৫ আগষ্ট) সূর্য উদয়ক্ষণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জাতীয় অর্ধনিমিত ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কার্যসূচি শুরু হয়। লামা উপজেলা প্রশাসন ও আ.লীগের আয়োজনে সকাল ৭ টায় লামা উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
সেক্ষেত্রে লামা বাজারস্থ জেলা পরিষদ গ্রেষ্ট হাউজের (২য় তলায়)সহ পৃথক আয়োজনে খদমে কোরআন,দোয়া মাহফিল,হাম,নাদ,চিত্রাংকন ও মোনাজাত হয়। সকাল ১০ টায় লামা উপজেলা পরিষদ হলরুমে সবার অংশগ্রহণে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। পরে লামা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিশাল গণভোজের আয়োজন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন লামা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা জামাল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মোস্তফা জাবেদ কায়সার, লামা পৌরসভার মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম, সহকারি কমিশনার (ভূমি) কাজী মোঃ শামীম, দুই বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মাহবুবুর রহমান, ফাতেমা পারুল,দুই ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জাহেদ উদ্দীন, মিল্কী রাণী দাশ, লামা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী।
আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ,লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা,সহ সভাপতি ক্রমান্বয়ে প্রশন্ন ভট্টাচার্য্য,বিজয় আইচ, মমতাজুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিং প্রু মার্মা,মিন্টু কুমার সেন,মোঃ জসিম উদ্দীন, মোহাম্মদ ইদ্রিস কোং, মোঃ ওমর ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ কান্তি দাশ, মোঃ আলমগীরসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক ও সাংবাদিকবৃন্দ।
এছাড়াও ইউনিয়ন পর্যায়েও বিভিন্ন সরকারি -বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও দলীয় আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।
প্রসংগত, সোমবার শোকাবহ ১৫ আগস্টের দিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। ১৫ আগস্ট আমাদের জাতীয় শোক দিবস। এছাড়া জাতির পিতার কন্যা, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড ছুঁড়ে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল। ভাগ্যক্রমে সেদিন তিনি বেঁচে গেলেও এই ঘটনায় সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সহধর্মিনী, আওয়ামী লীগের সেই সময়ের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত এবং পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এই ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগ্নে যুবনেতা ও সাংবাদিক শেখ ফজলুল হক মনি, তার সহধর্মিনী আরজু মনি ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও আত্মীয়-স্বজন।