উপার্জনক্ষম প্রত্যেককে আয়করের আওতায় আনতে মাসে ১৬ হাজার টাকার বেশি আয় করেন এমন ব্যক্তিদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
সোমবার দুপুরে সিলেট নগরীর শাহী ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “যাদের মাসিক আয় ১৬ হাজারের উপরে রয়েছে, তাদের অবশ্যই আয়কর দিতে হবে। এজন্য তালিকা তৈরির কাজ চলছে।” খবর বিডিনিউজের।
আগামী এক বছরের মধ্যে উপার্জনক্ষম প্রত্যেক ব্যক্তিকে আয়করের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্য রয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
তবে তালিকা তৈরিতে কিছুটা সময় লাগবে জানিয়ে মুহিত বলেন, “আগামী বছর বা কিছুটা পরে তা কার্যকর করা সম্ভব হবে।”
এর আগে রাজধানীতে গত ৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়োজিত এক সেমিনারে যে কোনো অংকের আয় করেন এমন ব্যক্তিদেরও ন্যূনতম হারে আয়কর দেওয়া বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী।
তখন তিনি বলেছিলেন, “যাদের কোনো আয় নেই তারা ছাড়া দেশের প্রত্যেক নাগরিককে বাধ্যতামূলকভাবে ন্যূ নতম করের আওতায় আনা উচিত। এর পরিমাণ ১০/২০/৩০ বা ৫০ টাকা হতে পারে। পরিমাণ যাই হোক না কেন।”
বর্তমান নিয়মে কোনো ব্যক্তি বছরে আড়াই লাখ টাকা বা তার বেশি আয় করলে তাকে কর দিতে হয়। বছরে আয় আড়াই লাখ টাকার কম হলে কাউকে কর দিতে হয় না।
তবে মাসে ১৬ হাজার টাকা বা তার বেশি আয়ের ক্ষেত্রে কর দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হলে বছরে করমুক্ত আয় সীমার পরিমাণ দাঁড়ায় এক লাখ ৯২ হাজার টাকা; অর্থ্যাৎ বছরে আয় দুই লাখ টাকার কম হলেও কর দিতে হবে।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী মুহিত জানান, বাংলাদেশে ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রকাশ করা হবে।
পরিদর্শনের সময় সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন কামরান, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবিব ও মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার ফয়সল মাহমুদসহ অন্যরা মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।