কক্সবাজারের রামু প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠার ৩৪ বছর উপলক্ষে এক অনলাইন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১১ সেপ্টেম্বর রাত আটটায় উক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রামুর স্থানীয় পত্রিকা আমাদের রামু ডটকম ফেইসবুক ভিত্তিক এ লাইভ আলোচনার আয়োজন করে। আমাদের রামু ডটকমের নিয়মিত আয়োজন গণমঞ্চ জনকণ্ঠ – নামের এই লাইভ আলোচনায় সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন), রামু উপজেলা শাখার সভাপতি মাষ্টার মোঃ আলম, রামু প্রেসক্লাবের প্রতিষ্টাতা সদস্য ও সাবেক সভাপতি সাংবাদিক দর্পণ বড়ুয়া, রামু প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক নীতিশ বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক সোয়েব সাঈদ অংশগ্রহণ করেন।
“রামু প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠার ৩৪ বছর” শীর্ষক উক্ত আলোচনা সভার সঞ্চালনায় ছিলেন- আমাদের রামু সম্পাদক প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু।
দীর্ঘ প্রায় দুই ঘন্টার এই আলোচনা সভায় আলোচকবৃন্দ সঞ্চালকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রেসক্লাব সভাপতি সাংবাদিক নীতিশ বড়ুয়া বলেন, দীর্ঘ ৩৪ বছরের পুরানো এবং ঐতিহ্যবাহী রামু প্রেসক্লাবের স্থায়ী কোন কার্যালয় নেই। আমরা স্থায়ী একটা কার্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছি। রামু প্রেসক্লাবের অদ্যাবধি নিজস্ব কোন গঠনতন্ত্র নেই। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আমরা এখন থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের নীতিমালা মোতাবেক রামু প্রেসক্লাবের কর্মকান্ড পরিচালনা করবো। তরুণ প্রজন্মের স্থানীয় সাংবাদিকদের পেশাগত মানোন্নয়নে আমরা নিয়মিত কর্মশালার আয়োজন করবো। এসময় তিন আরো বলেন, আমাদের মধ্যে কোন বিভেদ নেই। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। আমরা সবসময় সত্য ও সুন্দরকে ধারণ করে আমাদের আগামীর পথ চলবো।
অনুষ্ঠানের অপর আলোচক প্রেসক্লাবের প্রতিষ্টাতা সদস্য ও সাবেক সভাপতি সাংবাদিক দর্পণ বড়ুয়া বলেন, আজ থেকে ৩৪ বছর আগে ১৯৮৮ সালে আমরা কয়জন ব্যক্তি রামু প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। সেই সময় রাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিবেশ সাংবাদিকতার জন্য তেমন একটা অনূকুল ছিলনা। এখন এক ক্লিকে মেইলে পত্রিকায় নিজের সংবাদ প্রেরণ করতে পারছেন সাংবাদিকরা। আমাদের সময়ে সেই সুযোগও ছিলনা। অনেক কষ্ট করেই একটা সংবাদ পাঠাতে হতো। আরো বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে আমাদেরকে সাংবাদিকতা করতে হয়েছে। এরপরও একটা সুন্দর এবং মহৎ লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নিয়েই আমরা কয়জন মিলে রামুতে প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। সেই প্রেসক্লাব নানা সমস্যা এবং সীমাবদ্ধতার পাশ কেটে এখনো টিকে আছে সেটা ভাবতেই আনন্দ লাগে। আজকে রামুর অনেক সাংবাদিক দেশের জাতীয় পত্র-পত্রিকায় সাংবাদিকতা করছেন। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে সাংবাদিকতা করছেন। এটা অনেক বড় একটা অর্জন। এসময় তিনি রামু প্রেসক্লাবের অপর প্রতিষ্ঠাতাদের নামও স্মরণ করেন।
আলোচনায় সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন), রামু উপজেলা শাখার সভাপতি মাষ্টার মোঃ আলম বলেন, এলাকার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন, অপরাধ দমন, দুর্নীতি প্রতিরোধ, সত্যের উন্মোচন, শিক্ষা, সাহিত্য, ক্রীড়া, সংস্কৃতির বিকাশে স্থানীয় প্রেসক্লাব তথা সাংবাদিকতার যে অগ্রণী ভূমিকা থাকার কথা আমরা সেই প্রত্যাশিত ভূমিকা আমাদের রামু প্রেসক্লাব পালন করবে আমি সেই আশাবাদ ব্যক্ত করতে চাই। এজন্য সবার আগে প্রয়োজন সাংবাদিকদের মধ্যে একতা। সকলে ঐক্যবদ্ধ থেকে রামুর উন্নয়ন, সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা আপসহীন সাংবাদিকতার মাধ্যমে তুলে ধরবে আমি সেই প্রত্যাশাই করি রামু প্রেসক্লাবের নতুন নেতৃত্বের কাছে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে রামু প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক সোয়েব সাঈদ বলেন, রামুবাসী যাতে আইন-শৃংখলা বাহিনী এবং জনপ্রতিনিধিদের কাছে সেবা নিতে গিয়ে কোনো ধরণের হয়রানির শিকার না হন সেজন্য রামু প্রেসক্লাব আপসহীন সাংবাদিকতা করবে বলে তিনি দৃঢ় অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন। এজন্য তিনি রামুবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।