১২ অক্টোবর সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব (উপসচিব) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু জাফর রাশেদ এর নেতৃত্বে এবং কক্সবাজার জেলা পুলিশ, আনসার ব্যাটালিয়ন এবং বিদ্যুৎ বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এর বিপরীত পাশে গণপূর্তের সৈকত সমবায় সমিতির প্লটসমূহে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় অননুমোদিতভাবে নির্মাণাধীন ৪টি দুইতলা ভবন এবং ২টি এক তলা ভবন ভেঙ্গে দেয়া হয়।
সূত্রে জানা যায়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক ১৯৯৬ সালে ৭.৫ একর জমি সৈকত সমবায় সমিতির নামে বরাদ্দ দিলেও পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক ৭.৫০ একর এর পরিবর্তে ৫.০০ একর জমি বরাদ্দ দিয়ে সংশোধিত বরাদ্দপত্র জারি করে এবং সৈকত সমবায় সমিতি কর্তৃক সংশোধিত বরাদ্দপত্র মেনে নেয়।
কিন্তু সৈকত সমবায় সমিতি কর্তৃক মহামান্য হাইকোর্টে আরো ২.৫০ একর জমি পাওয়ার জন্য ৪২৮৩/১৯৯৭ নং রীট করে। পরবর্তীতে তারা ৩০/২০১৬ নং সিভিল রিভিউ পিটিশন দায়ের করলেও ২৭/০৬/২০১৯ তারিখে তা খারিজ করা হয়। ফলে বিতর্কিত ২.৫০ একর জায়গার উপর সৈকত সমিতির অধিকার না থাকায় আদালত কর্তৃক উচ্ছেদ করতে বলা হয়। তারই প্রেক্ষিতে অবৈধ অননুমোদিত স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার, এনজিপি, এনডিসি, পিএসসি, বিএন (অব.) বলেন, পরিকল্পিত পর্যটন নগরী বাস্তবায়ন, আমাদের সকলের দায়িত্ব; তাই ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুসরণ করে এবং অনুমোদন নিয়ে ভবন নির্মাণের জন্য তিনি সকলের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানান। এ বিষয়ে তিনি সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন এবং কক্সবাজারকে একটি পরিকল্পিত পর্যটন নগরী বাস্তবায়নে অবৈধ এবং অননুমোদিত স্থাপনার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।