রামু সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন করা হয়েছে। সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টায় রামুতে বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল দিনটি উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন, ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কক্সবাজার এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. ফখরুল আহসান।
১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সম্মিলিতভাবে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণের সূচনা করে। এই দিনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সাথে মুক্তিকামী জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সম্মিলিত আক্রমণ করে। এর ফলে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মহান বিজয় ত্বরান্বিত হয়।
প্রতিবছরের ন্যায় যথাযথ মর্যাদা ও সম্মানের সাথে সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে দিবসটি উদযাপন করা হয়, রামু সেনা নিবাসে। সশস্র বাহিনী দিবস অনুষ্ঠানে ২০৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথি মেজর জেনারেল মো. ফখরুল আহসান বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি যে কোন দুর্যোগ মোকাবেলা, অবকাঠামো নির্মাণ, আর্তমানবতার সেবায় কাজ করছে। পাবর্ত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাস দমন, জঙ্গী দমন, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। এছাড়াও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
তিনি বলেন, আধুনিকায়ন, সম্প্রসারণ ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে সশস্ত্র বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে বর্তমান সরকার সবসময় আন্তরিক রয়েছেন।
বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানিয়ে ১০ পদাতিক ডিভিশনে জিওসি বলেন, অগণিত বীর শহিদ ও সাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগে অর্জিত হয়েছে আমাদের কাঙ্খিত স্বাধীনতা। মহান মুক্তিযুদ্ধে কক্সবাজার অঞ্চলের অসীম সাহসিকতা, সহযোগিতা এবং বীরত্বপূর্ণ অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং কক্সবাজার অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল বীর শহিদদের প্রতি তিনি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী কক্সবাজার এরিয়া কমান্ডার এয়ার কমোডোর মো. শরীফ উদ্দীন সরকার, কক্সবাজার সদর-রামু- ঈদগাহ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার জেলা প্রশংসক মো. মামুনুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান জানানোর পর, সামরিক প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন ও বাদক দলের সামরিক পাইপ ব্যান্ড ডিসপ্লে, কবুতর উড়িয়ে এবং কেক কেটে রামু সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়।
রামু সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবস অনুষ্ঠানে আগত মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল গণ্যমান্য অতিথিদেরকে অভ্যর্থনা জানান, ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কক্সবাজার এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. ফখরুল আহসান
অনুষ্ঠানে সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।