রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল বলেছেন- ওলামা-মাখায়েখগণকে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধে অগ্রগণ্য ভ‚মিকা পালন করতে হবে। আলোকিত সমাজ প্রতিষ্ঠা ও সুন্দর-সমৃদ্ধ দেশ গঠনে আলেম সমাজের ভ‚মিকা অপরিহার্য। আলেমদের প্রদর্শিত পথে ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষ পরিচালিত হন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামের সুমহান শ্বাশত আদর্শ তুলে ধরার প্রয়াসে দেশের ৫০০ টি উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছেন। এসব মসজিদ হবে ইসলামী গবেষনা কেন্দ্র। দেশের সকল ওলামা-মাশায়েখগণের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধাশীল এবং আলেমদের কল্যাণে তিনি নানাবিধ কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন।
তিনি সোমবার, ৩০ জানুয়ারি সকালে পুরাতন উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রামু ইসলামিক ফাউন্ডেশন উদ্যোগে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আয়োজিত ওলামা-মাশায়েখ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। কক্সবাজার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারি পরিচালক সরওয়ার আকবরের সভাপতিত্বে সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- ইসলামিক ফাউন্ডেশন রামু উপজেলা সুপারভাইজার মো. সাইফুদ্দিন খালেদ।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ারুল হোসাইন, রাজারকুল মাছুমিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া আলিম মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ উল্লাহ নকশবন্দী, জাতীয় ইমাম সমিতি কক্সবাজার জেলা সভাপতি মাওলানা সিরাজুল ইসলাম ছিদ্দিকী, রামু উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. সালাহ উদ্দিন, রাজারকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমান, রামু উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা নুরুল হাকিম, রামু প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোয়েব সাঈদ, ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ছালামত উল্লাহ প্রমূখ। সমাবেশে সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন- ইসলামিক ফাউন্ডেশন রামু উপজেলা মডেল কেয়ারটেকার আবু বক্কর ছিদ্দিক। সমাবেশে শতাধিক আলেম-ওলামা উপস্থিত ছিলেন। পরে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ইমাম বাছাই ও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।