স্মরণ সভা, করব জিয়ারত ও দোয়া মাহফিল সহ নানা আয়োজনে অনুবাদক মরহুম আব্দুল মাবুদ চৌধুরীর ২৩ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মুহাম্মদ মাসুদ কুতুবীর তত্ত¡াবধানে এসব কর্মসুচি পালন করা হয়।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) আসরের নামাজ আদায়ের পর মরহুমের সন্তান, নাতি ও ওনার সান্নিধ্য পাওয়া প্রবীণ ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে কক্সবাজার শহরের গোলদিঘীর পাড়স্থ কেন্দ্রীয় কবরস্থানে করব জিয়ারত ও দোয়ার মাধ্যমে কর্মসুচি শুরু হয়। পরে মরহুম আব্দুল মাবুদ চৌধুরীর ওয়ারিশ তথা সন্তান, নাতি ও নাতনী এবং নিকট আত্মীয়রা ইছালে ছওয়াবের উদ্দেশ্যে আলোচনা ও দোয়ার মাধ্যমে প্রথম অধিবেশন শেষ করেন।
বাদ মাগরিব মরহুম আব্দুল মাবুদ চৌধুরীর সান্নিধ্য পাওয়া প্রবীণ ব্যক্তিদের নিয়ে মরহুমের বড় ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মুহাম্মদ মাসুদ কুতুবী (বিএ) এর সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় অংশগ্রহণ করেন- কক্সবাজার জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী শামশুল আলম কুতুবী, অবসরপ্রাপ্ত সুবেদার মেজর হারুনুর রশিদ ও মৌলভী শফিউল আলম প্রমুখ।
স্মরণ সভায় মরহুম আব্দুল মাবুদ চৌধুরীর জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরেন- ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মুহাম্মদ মাসুদ কুতুবী (বিএ)। তিনি বলেন- আব্দুল মাবুদ চৌধুরী ব্রিটিশ আমলের চট্টগ্রাম কাজিম আলী হাইস্কুল হতে এনট্রানস পাশ করেন এবং কেলকাটা হইতে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন। তিনি চট্টগ্রাম জজ জুরি বোর্ডের সদস্য ছিলেন। ব্রিটিশ আমলে অবিভক্ত বাংলার কাস্টমস অফিসার ছিলেন। পরে অফিসের সুপারেন্টেন হিসাবে ভারতের নাগপুর, জব্বলপুর, আলীগঞ্জ, এলাহাবাদ,আগ্রাসহ বিভিন্ন প্রদেশে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি কুতুবদিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়ন বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট এবং বিভিন্ন ব্যবসায়িক ও জনকল্যাণমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে সততার সাথে জীবন অতিবাহিত করেন। মরহুম আব্দুল মাবুদ চৌধুরীর ব্যক্তিত্বের উল্লেখযোগ্য বিশেষ গুণাবলী নিয়ে আলোকপাত করতে গিয়ে বলেন- পরিপাটি চলাফেরা, নির্লোভ, নিরহংকার, বিনয়ী, ইংরেজিতে পারদর্শীতা এবং অনুবাদক তাঁর সুখ্যাতি ছিলো সর্বত্র।
ইংরেজিতে পারদর্শিতা ও অনুবাদক হিসেবে জ্ঞানের স্বীকৃতি ও ইতিহাস সংকলনের জন্য বিজ্ঞ সিনিয়র আইনজীবী শামশুল আলমের মতো প্রবীণ ব্যক্তিবর্গের স্মৃতিময় কথামালা প্রকাশের প্রস্তাব প্রদান করেন মরহুমের বড় নাতি ব্যাংকার মো: হাসান মাহমুদ চৌধুরী। এতে উপস্থিত সকলে মরহুমের বড় ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মুহাম্মদ মাসুদ কুতুবী (বিএ) এর তত্ত¡াবধানে উদ্যোগটি বাস্তবায়নের মত প্রদান করেন। এতে পারিবারিক স্মৃতিচারণ করেন- মরহুমের সেজ নাতি শিক্ষক মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ।
এতে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল মাবুদ চৌধুরীর ছোট নাতি চাকরিজীবি মোঃ আরিফ মাহমুদ চৌধুরী, জামাতা ফারুক আহমেদ, মেজ মেয়ে নুরজাহান বেগম, মেয়ে বুলবুল আক্তার, শামসুন্নাহার বেগম, ছোট ছেলে হাসান মাহবুব শেখ বাহাদুর, শিক্ষক ওয়াহিদ মুরাদ, ডাক্তার শাহীন আব্দুর রহমান চৌধুরী, শেখ শহীদ সিকদার, মোঃ আরাফাত, নাতি বউ উম্মে কুলসুম মিতালী, সালমিরা সুলতানা সোমা, কোহিনুর আক্তার, হাসনা হুরাইন আইরিন, আকিল, ইকরা, সিমরাহ, নাইমা, আরহাম, ইলহাম সহ আরও অনেক শুভাকাক্সক্ষী।
স্মরণ সভা উপলক্ষ্যে আয়োজিত খতমে কুরআন শেষে মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও কল্যাণ এবং মুসলিম কবরবাসীর রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেন- মারকাজ মসজিদের ইমাম হাফেজ আবুল কাসেম। এতে ১৫ জন খুদে হাফেজ উপস্থিত ছিলেন। এতে নৈশভোজের আয়োজন করেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মুহাম্মদ মাসুদ কুতুবী (বিএ)।
3
Attachments
• Scanned by Gmail