রামুতে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে জাতীয় বীমা দিবস পালিত হয়েছে। ১ মার্চ সকালে বর্ণাঢ্য র্যালিটি পুরাতন উপজেলা গেইট থেকে শুরু করে নতুন পরিষদ গেইট দিয়ে উপজেলা চত্বরে এসে শেষ হয়।
রামু উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত র্যালি পরবর্তী আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহমিদা মুস্তাফা স্বর্ণা। তিনি বলেছেন, বিমা শিল্পকে গুরুত্ব দিয়ে সরকার ২০২০ সাল থেকে ১ মার্চ’ কে জাতীয় বীমা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছেন। যেটি বর্তমানে গুরুত্ব বাড়ানোর জন্য সরকার খ থেকে ‘ ক’ শ্রণিতে উন্নীত করেছেন।
প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর রামু সার্ভিসিং সেলের ইনচার্জ আবুল কাশেম সাগর এর সন্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, রামু উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক তপন মল্লিক। তিনি বলেন জাতিরর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বীমা কোম্পানীতে চাকুরী করেছেন এটা আমাদের জন্য গর্বের। তিনি ৬ দফা বীমা কোম্পানীর অফিসে বসে রচনা করেন যা বাঙ্গালীর ইতিহাসে এক অন্যতম রকম অনুভূতির জায়গা। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন
রামু উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজুল ইসলাম, তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বে বীমা ছাড়া কিছু হয়না। বর্তমানে আমাদের দেশেও সরকারে বিমা শিল্পকে গুরুত্ব দিচ্ছে যা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে।
বক্তব্য রাখেন, রামু থানা পুলিশ পরিদর্শক ( তদন্ত) অরূপ কুমার চোধুরী। তিনি বলেন, বীমা এখন আগের মত নেই। এটি এখন অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আমাদের পরিবারেও ব্যক্তিগতভাবে বীমা পলিসি রয়েছে। যা প্রত্যেক নাগরিকদের চাহিদা মত করা উচিৎ। এসময় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নুরে আলম মজুমদার, রামু প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক সোয়েব সাঈদসহ অন্যরা।
দিবসে বীমা কোম্পানীর শতাধীক কর্মী, গ্রাহক ও শুভানুধ্যায়ী উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য ১৯৬০ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালিন ১ মার্চ বীমা কোম্পানীতে যোগদানকৃত কর্মজীবনের স্মৃতি বিজড়িত দিনকে স্মরণ রাখতে ১ মার্চ জাতীয় বিমা দিবস ঘোষণা করে সরকার।