রামুতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার মুজিব বর্ষের ঘর পেলো আরও ২০২ পরিবার। বুধবার, (২২ মার্চ) সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রামু উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানব সম্পদ) নাছিম আহমেদ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহমিদা মুস্তফা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আফসানা জেসমিন পপি, ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভূট্টো, রাজারকুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমান, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খোদেস্তা বেগম রীনা, রশিদনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এমডি শাহ আলম, রামু উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক শামশুল আলম মন্ডল, রামু প্রেসক্লাব সভাপতি নীতিশ বড়ুয়া প্রমুখ।
অধ্যাপক পরীক্ষিত বড়ুয়া টুটুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন, মাওলানা নুরুল হাকিম।
প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর ও জমি পেয়ে উচ্ছ্বসিত রাজারকুল ইউনিয়নের রামকোট ঘোনারপাড়া এলাকার রোমা রাণী ধর, রশিদনগর ইউনিয়নের কামাল হোসেন অনুষ্ঠানে অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
জানা গেছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা ‘মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা’। তাঁর এ ঘোষণা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় চতুর্থ পর্যায়ে দেশের আরও ৩৯,৩৬৫টি ঘর প্রদান করা হয়েছে। সারা দেশে ৭টি জেলা ও ১৫৯টি উপজেলা ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষনা করা হয়।
রামু উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
রামু উপজেলা নির্বাহী ফাহমিদা মুস্তফা জানান, তৃতীয় পর্যায়ের অবশিষ্ট ৭০টি ও চতুর্থ পর্যায়ের ১ম ধাপের ১৩২টি সহ, মোট ২০২টি ঘর হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তৃতীয় পর্ষায়ে রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নে ২০টি, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের পানের ছড়া এলাকায় ২টি, চেইন্দা এলাকায় ১টি, রশিদনগর ইউনিয়নে ৩২টি, ঈদগড় ইউনিয়নে ১১টি, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নে ১টি, খুনিয়াপালং ইউনিয়নে ২টি, কাউয়ারখোপ ইউনিয়নে ১টিসহ মোট ৭০টি ঘর এবং ৪র্থ পর্যায়ে রাজারকুল ইউনিয়নের ঢালার মূখ এলাকায় ১৬টি, রাজারকুল ইউনিয়নের চৌকিদার পাড়া এলাকায় ৪৭টি, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নে ২৫টি, রশিদনগর ইউনিয়নে ৪২টিসহ মোট ১৩২টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
ইউএনও ফাহমিদা মুস্তফা আরও বলেন, রামু উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন ১ হাজার ৬৫টি পরিবারের মধ্যে ইতিমধ্যে ১ম, ২য়, ৩য় পর্যায়ে ৭০৫টি ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। তৃতীয় পর্যায় পর্যন্ত বরাদ্ধপ্রাপ্ত ৭০৫টি ঘরের মধ্যে গৃহ নির্মাণ পূর্বক হস্তান্তরের জন্য অবশিষ্ট গৃহের সংখ্যা ৭০টি। এছাড়া রামু উপজেলায় চতুর্থ পর্যায়ের বরাদ্ধপ্রাপ্ত গৃহের সংখ্য ৩৩২টি এবং এর মধ্যে ১ম ধাপে উদ্বোধন হয়েছে ১৩২টি। তৃতীয় পর্যায়ে বরাদ্ধপ্রাপ্ত গৃহের সংখ্যা ৪০০টি। এর মধ্যে মোট উদ্বোধন হয়েছে ৩৩০টি ঘর।