গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এ বন্দি থাকা অবস্থায় একজন বিচারক ও সচিবকে মোবাইল ফোনে হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া কারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বন্দিকে নির্যাতন এবং ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ করেছেন এক নারী। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
অভিযুক্ত বন্দির নাম আমান উল্লাহ চৌধুরী। তাকে পৃথক সেলে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী নুসরাত জাহান।
কারা সূত্র জানায়, ই-ভ্যালির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত আমান উল্লাহ চৌধুরী ২০২১ সালের ১৮ আগস্ট গুলশান থানার একটি মামলায় গ্রেফতার হন। পরের দিন তাকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার পাঠানো হয়। পরবর্তী সময়ে ২০২২ সালের ১৩ মে আমান উল্লাহকে গাজীপুর কাশিমপুর কারাগার-১ হস্তান্তর করে কারা কর্তৃপক্ষ।
কাশিমপুর কারাগারে বন্দি আমান উল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী নুসরাত জাহানের অভিযোগ, স্বামীকে কাশিমপুর কারাগারে নির্যাতন থেকে বাঁচতে তিনি পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ দেন। পরে আরও ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে কারা কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে গাজীপুরের জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ জমা দিয়েছেন নুসরাত জাহান। তবে কারা কর্তৃপক্ষ ঘুষ নেওয়া ও টাকা দাবির বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে।
এ বিষয়ে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ বলেন, ‘দুজন সরকারি কর্মকর্তা ফোন দিয়ে জানান, বন্দি আমান উল্লাহর কাছে মোবাইল ফোন রয়েছে, যা দিয়ে তিনি তাদের হুমকি দিচ্ছেন। পরে কারাগারের জেলারকে দিয়ে বন্দি আমান উল্লাহকে সেলে তল্লাশি করে কোনো ফোন পাওয়া যায়নি। পরে তারা জানতে পারেন সরকারি ফোন দিয়ে আমান উল্লাহ সরকারের একজন যুগ্ম সচিব ও একজন বিচারককে হুমকি দিয়েছেন। পরে বন্দি আমান উল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ফোনে হুমকি দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।’
আমান উল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রীর অভিযোগ প্রসঙ্গে গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেন, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।