হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী:
নিজস্ব প্রতিবেদক, আমাদের রামু ডটকম :
রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বিশেষ বর্ধিত সভা শনিবার ২৭ ফেব্রয়ারি সন্ধ্যায় কচ্ছপিয়া স্টার পার্ক কমিউনিটি সেন্টার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আলোচনা সভা শেষে ওই অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জাকের আহমদকে আসন্ন কচ্ছপিয়া ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের একক প্রার্থী ঘোষণা করেছেন উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার মানুষের কল্যাণ ও দেশের সার্বিক উন্নয়নে বিশ্বাসী। বাংলাদেশের বৃহৎ সফলতার ক্ষেত্রে আওয়ামীলীগ ও বর্তমান সরকারের অবদান অনস্বীকার্য। যোগাযোগ থেকে শুরু করে তথ্য প্রযুক্তি, সন্ত্রাস নির্মূল সব দিক দিয়েই সফলতা অর্জনের একমাত্র দাবিদার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। তাই এ সরকারের হাতকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে জয়ী করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শামশুল আলম মন্ডল বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য অনেক কিছু করেছেন। তবে আওয়ামীলীগকে মানুষ কতটুকু ভালোবাসেন তা পরীক্ষা করার জন্য পৌরসভা নির্বাচন দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে আওয়ামীলীগের জয়জয়কার। প্রধানমন্ত্রী এ ধারাবাহিকতার প্রমাণ চান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও। কিন্তু এ সরকারের আমলে কচ্ছপিয়ায় ভিন্ন দলের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন কর্তৃক আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা কিভাবে মিথ্যা মামলার শিকার হচ্ছেন তা বোধগম্য নয়। তার খুটির জোর কোথায়?
তিনি আরো বলেন, ওই চেয়ারম্যান বিএনপির আমলে সাংসদ সহিদুজ্জামানের আস্তাভাজন ছিলেন। তাকে গরু জবাই করে দাওয়াত দিয়েছিলেন। পরে বিএনপির সংসদ সদস্য লুৎফর রহমান কাজলের আস্তাভাজনও ছিলেন। এখন আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্যের নাম ভাঙ্গিয়ে অপরাধ কর্মকান্ড সংগঠিত করছেন। তার নেতৃত্বে গর্জনিয়া বাজারের শত বছরের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জমি লুটপাট হয়েছে, বাজারে লাগানো হয়েছে আগুন। পরিষদের চাল লুটপাট হচ্ছে। তাই আগামী নির্বাচনে এসবের জবাব দিয়ে আওয়ামীলীগের প্রার্থীকে জয়যুক্ত করতে হবে।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম সিকদারের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখেন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মনজুরুল আলম, নুরুল কবির, বিমল কান্তি দাশ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা ফরিদুল আলম, আইন বিষয়ক সম্পাদক মুজাফ্ফর আহমদ ও ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মনির আহমদ।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম সওদাগর ও সহ-সভাপতি মাষ্টার ফয়জুল হাসানের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম বকুল, যুগ্ন-সম্পাদক মিলান বড়ুয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক ইউনুছ রানা চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক নুরুল ইসলাম সেলিম, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কামাল বোরহান উদ্দিন রায়হান, কাউয়ারকোপ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহবায়ক মোহাম্মদ হোছেন, রাজারকুল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার কামাল, কচ্ছপিয়ার ৯টি ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের ১৭জন সভাপতি-সম্পাদকসহ অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় জাকের আহমদকে দলীয় মনোনয়ন (নৌকা প্রতিক) দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে তৃণমূল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য, গত ৮ জানুয়ারি কচ্ছপিয়ার সিকদার কমিউনিটি সেন্টার মিলনায়তনে এই ধরণের আরেক বিশেষ বর্ধিত সভায় কচ্ছপিয়ার নৌকার মাঝি হিসেবে জাকের আহমদকে বেছে নিয়েছিলেন উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের চার শতাধিক নেতৃবৃন্দ।