বান্দরবান জেলার লামায় বন্যহাতি আক্রমণে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে কুমারী চাককাটা গ্রামের মৃত ছিদ্দিক আহমদের ছেলে নিহত আকতার হোসেন (৩৮)। (সোমবার (৮ মে) ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড কুমারী চাককাটা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতের স্ত্রী রোকসানা বেগম বলেন, রাত ২টা ৩০ মিনিটে ১টি বন্য হাতির পাল এসে বাড়ির উঠানে আম গাছ থেকে আম খেতে থাকে। হাতির উপস্থিতি টের পেয়ে নিহত আকতার হোসেন হাতি তাড়াতে ঘর থেকে বের হয়। এসময় ১টি দাঁতালো বড় বন্য হাতির তাকে তাড়া করে। পরে পাশের আব্দুল সালামের বাড়ির দক্ষিণ পাশে জমিতে ফেলে ধারালো দাঁত দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে তাকে মেরে ফেলে। কিছুক্ষণ পরে স্বজন ও এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে লামা সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার ডাঃ শহীদুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই লোকটির মৃত্যু হয়েছে। রক্তাক্ত লাশের পিঠে ও গলায় বড় ধরনের ক্ষত চিহ্ন রয়েছে এবং সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
লামা বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ আতিকুর ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বন বিভাগের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে। এছাড়া হাতি ও মানুষের দ্বন্দ নিরসনে বন বিভাগের পক্ষ থেকে নানা ধরনের কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে এবং অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে আজিজনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পাড়ার মৃত নুর আহমদের পুত্র ফরিদুল আলম(৩৭) আম পাড়তে গাছে উঠলে ৩৩ হাজার কেবির বিদ্যুৎতের তারে আটকে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শহীদুল ইসলাম চেীধুরী জানান, ২টি আকস্মিক মৃত্যুর খবর পেয়েছি, লাশের প্রাথমিক সুরতহাল করার জন্য উপ-পরিদর্শক অলি আহাদকে পাঠানো হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণের জন্য প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।