মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুতে দেশটির সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের তিনটি ছাউনিতে দুষ্কৃতকারীদের হামলায় ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ওই রাজ্যের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত হামলায় ১৪ জন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় ওই হামলার পর টেকনাফে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)। খবর বাংলাট্রিবিউনের।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রবিবার ভোরের দিকে প্রদেশের মংডুতে এই হামলা চালানো হয়। আক্রমণকারীরা বর্ডার গার্ড পুলিশের তিনটি ছাউনিতে হামলা চালিয়ে অস্ত্রশস্ত্র ও বেশ কয়েকটি বন্দুক লুট করে নিয়ে গেছে। নিহতদের মধ্যে ৯ জনই পুলিশ কর্মকর্তা।
কারা এই হামলা চালিয়েছে সেটি এখনও পরিষ্কার নয়। তবে রাখাইন রাজ্যের এক কর্মকর্তা হামলার জন্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপ রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)-কে দায়ী করেছেন।
স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, এই হামলার সঙ্গে আরএসও জড়িত রয়েছে। তবে মিয়ানমার সরকার থেকে এটি এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বৌদ্ধ ও মুসলিম রোহিঙ্গাদের মধ্যে সহিংসতায় বহু মানুষ নিহত হয়েছে। বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছেন হাজার হাজার রোহিঙ্গা।
হামলার পর টেকনাফে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে অতিরিক্ত সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। টেকনাফে বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লেফট্যানেন্ট কর্নেল আবু জর আল জাহিদ জানান, রাতে গোলাগুলির শব্দ শোনার পর তারা দোভাষীর মাধ্যমে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন।
বিজিবি কর্মকর্তা জানান, মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী থেকেও তাদের জানানো হয়েছে, তাদের কিছু আউটপোস্টে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে এবং সন্ত্রাসীরা যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়ারও অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের দুর্গম এলাকায় অবস্থান করে আরএসও তাদের কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করে আসছে মিয়ানমার। এর আগে এ বছরের মে মাসে টেকনাফের একটি আনসার ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে একজনকে হত্যা এবং ১১টি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি লুটের ঘটনায়ও আরএসও জড়িত ছিল বলে জানিয়েছিল বাংলাদেশ পুলিশ। সূত্র: বিবিসি বাংলা।