শতবর্ষ প্রাচীন রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে দুর্নীতি, অনিয়ম এবং অর্থ আত্মসাতের বিষয় তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফাহমিদা মুস্তফা গত ১৯ জুন স্মারকমূলে জারীকৃত পত্রের মাধ্যমে এ কমিটি গঠন করেন।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) নিরুপম মজুমদারকে আহবায়ক, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আল গালিবকে সদস্য সচিব ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নুরে আলম মজুমদারকে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে ১০ কার্য দিবসের মধ্যে সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
জারীকৃত এ পত্রে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফাহমিদা মুস্তফা জানান, রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা অমান্য করে বোর্ডের নির্ধারিত ফি বহির্ভূত অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এগার হাজার তিনশত টাকা করে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, রেজিষ্ট্রেশন, প্রবেশপত্র বিষয়ে অনিয়ম ও প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বিষয়ে দুর্নীতি, আইন শৃঙ্খলা বিষয়ে অবনতি এবং গত ২৮ এপ্রিল বিদ্যালয়ে সংঘটিত অনাকাঙ্খিত ঘটনার বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত করার জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত কমিটির সদস্যবৃন্দ পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রদান এবং বিদ্যালয়ে পাঠদানে সুষ্ঠু পরিবেশ আনয়নে করণিয় সম্পর্কে সুপারিশ প্রদান করবেন। ওই পত্রে ইউএনও আরও জানান। ইতোপূর্বে জারীকৃত গত ৮ মে তারিখের পত্রটি বাতিল করা হয়েছে।
একই সাথে গঠিত তদন্ত কমিটিকে সার্বিক সহযোগিতা প্রধান করতে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করে এ বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক জানান, শতবর্ষ প্রাচীন বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ফিরে পেতে, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত প্রয়োজন ছিলো। আমরা আশাবাদী এ কমিটির সঠিক তদন্তে শতবর্ষ প্রাচীন রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে দুর্নীতি, অনিয়ম, অর্থ আত্মসাত সহ সকল বিষয়ে সুস্থ সমাধান হবে। ফিরে আসবে বিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ।