সম্রাট অশোক কর্তৃক নির্মিত ঐতিহাসিক প্রসিদ্ধস্থান রামুর ‘রাংকূট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহার’ ও অনাথ শিশুদের আশ্রয়স্থল ‘জগতজ্যোতি চিলড্রেন ওয়েল ফেয়ার হোম’ পরিদর্শন করেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় মন্ত্রী কক্সবাজারের রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নের প্রাচীন ঐতিহাসিক প্রসিদ্ধস্থান ‘রাংকুট বনাশ্রম বৌদ্ধবিহার’ পরিদর্শন করেন। এ সময় রাংকূট বনাশ্রম বৌদ্ধবিহারের অধ্যক্ষ কে, শ্রী জ্যোতিসেন মহাথের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বিহার প্রাঙ্গনে স্বাগত জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেন, আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মডেল রাংকূট। এটি একটি অনন্য তীর্থস্থান। আমি মনে করি সম্প্রীতির এ দেশে সকলে মিলেমিশে বাস করতে এবং সকল অকল্যাণ দূর করবে এই জ্ঞান চর্চা কেন্দ্র। বাংলাদেশের এই প্রান্তেও মহামান্য বৌদ্ধ দেবের পদচারণা হয়েছিল, সম্রাট অশোক এ প্রাচীন স্থাপনাটি নির্মাণ করেছিলেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আরও বলেন, পুর্বেকার সময়েও এখানে এসছিলাম। এখানে যতই আসি ততই মুগ্ধ হই। অনাথ শিশুদের একটি আশ্রম, যেটি আমি ইউটিউব এ চার্জ করে দেখেছিলাম এবং আসার জন্য মনস্থির করেছিলাম। আজকে এখানে এসে অনেক ভাল লাগলো। এই শিশুরা একদিন বিশ্বে নেতৃত্ব দিবে। তিনি বলেন, এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটি যাতে স্থায়ীত্ব এবং সমৃদ্ধ লাভ করে সেক্ষেত্রে আমাদের সজাগ দৃষ্টি থাকবে এবং সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা দেয়া হবে।
পরে মন্ত্রী ‘রাংকুট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহার’ ও বিহার প্রাঙ্গণে প্রতিষ্ঠিত রাংকুট পদ্মবীনা জুলন্ত সেতু, মীরাক্কেল গার্ডেন সহ জগতজ্যোতি চিলড্রেন ওয়েল ফেয়ার হোম পরিদর্শন করেন। জগতজ্যোতি চিলড্রেন ওয়েল ফেয়ার হোমের শিশুরা গান ও নৃত্য পরিবেশনার মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে সম্ভাসন জানান।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জগতজ্যোতি চিলড্রেন ওয়েল ফেয়ার হোমের জন্য নগদ অর্থ সহায়তা দেন।
মঙ্গলবার সকালে ঐতিহাসিক প্রসিদ্ধস্থান সম্রাট অশোকের নির্মিত রামুর ‘রাংকূট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহার’ পরিদর্শনকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি’র সাথে ছিলেন, কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম পিপিএম (বার), মন্ত্রীর একান্ত সচিব মু. আসাদুজ্জামান, জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফ মাহমুদ অপু, সহকারি একান্ত সচিব মনির হোসেন, রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল হোসাইন, রাজারকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমান, রামু ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা সুমেন বড়ুয়া প্রমুখ।