নিজস্ব প্রতিনিধি:
রামু রাজারকুল আজিজুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানার ইসলামী সাহিত্য ও গবেষণা বিভাগের উদ্যোগে হিজরী সন ও আশুরার তাৎপর্য শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হযয়েছে। ৮ মুহাররম,১০ অক্টোবর (সোমবার) দুপুরে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন,উস্তাযুল হাদিস মাওলানা শফিউল আলম।
প্রধান আলোচক ছিলেন,নির্বাহী পরিচালক মাওলানা মোহছেন শরীফ।বিশেষ আলোচক ছিলেন,শিক্ষা পরিচালক মাওলানা আব্দুল খালেক (কওছর)।স্বাগত বক্তব্য রাখেন,ইসলামী সাহিত্য ও গবেষণা বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর।
শিক্ষার্থীদের বক্তৃতা পর্বে বিচারক ছিলেন,সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা হাফেজ আব্দুল হক (রামুভী) ও মাষ্টার সাইফুল ইসলাম। সেমিনারে শিক্ষকদের মধ্য অংশ নেন, মাওলানা মুফতি দেলাওয়ার হোছাইন, মাওলানা এবাদুল হক, মাওলানা জুবাইর উদ্দিন, মাষ্টার ইউছুপ নবী। শিক্ষার্থীদের মধ্য বক্তব্য রাখেন জিয়াউদ্দিন ইউছুফ, জাহাংগীর আলম, মহিউদ্দিন, আশরাফুল ইসলাম, ইমরান হাবীব ও মুহাম্মদ খুবাইব প্রমুখ ।শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন মুহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ।
প্রধান আলোচক মাওলানা মোহছেন শরীফ বলেন,মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)তাওহীদের ঝান্ডা উড্ডীন করার জন্য মক্কা থেকে মদীনা হিজরত করেন।মসুলমানদের মাঝে সেই হিজরতের চেতনা ও প্রেরণা সঞ্চার করা হিজরী সন প্রবর্তনে অন্যতম তাৎপর্য।মুসলমানদের জীবনধারায় হিজরী সনের গুরুত্ব অনেক বেশি।অতীত বছরের গুনাহ থেকে তাওবা ও আগত বছরকে আল্লহর মর্জি মোতাবেক অতিবাহিত করার প্রত্যয় গ্রহন করতে হবে।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, হযরত আদম (আঃ) এর দোয়া কবুল হওয়া,ফিরআউন এর জুলুম থেকে মূসা (আঃ)ও তাঁর কওম এর মুক্তি লাভ,হযরত হোসাইন (রাঃ) এর শাহাদত বরণসহ বহু ঈমানদীপ্ত ঘটনার স্মারক পবিত্র আশুরা।আশুরা মসুলমানদের ঈমানী চেতনাকে শাণিত করে।আশুরা উদযাপনের নামে মাতম,তাজিয়া মিছিল,বক্ষে-পিঠে ছুরিকাঘাত,আতশবাজি ইত্যাদি কুসংস্কার এর সাথে আশুরার প্রকৃত চেতনা ও প্রেরণার কোন সম্পর্ক নেই।এসব কুসংস্কার বর্জন করে আশুরা (১০ মুহাররম)এর আগে বা পরের দিনসহ দুইটি রোজা রাখাই মহানবী (সঃ)এর সুন্নাত।
উল্লেখ্য, একই বিষয়ে ইসলামী সাহিত্য ও গবেষণা বিভাগ থেকে “মাসিক আল-আজিজ” এর বিশেষ সংখ্যা ও প্রকাশিত হযয়েছে।সেই সাথে সূচিত হযয়েছে আল আজিজ সাহিত্য কাফেলার অভিযাত্রা।