থাইল্যান্ডে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আঞ্চলিক সভায় অংশ নিয়েছেন, রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আমন্ত্রণে গত রবিবার দুপুরে থাইএয়ার টিজি৩২২ বিমান যোগে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন তিনি।
আজ সোমবার থেকে বুধবার (২৪-২৭ জুলাই) চার দিনের এ সভা শুরু হয়েছে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে। বাংলাদেশ থেকে তিন সদস্যের এক প্রতিনিধি দল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এ আঞ্চলিক সভায় অংশ নিয়েছেন। এ প্রতিনিধি দলে রয়েছেন, স্বাস্থ্য পরিষেবা অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. তাহমিনা সুলতানা, উপ-পরিচালক ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার (উপজেলা স্বাস্থ্য পরিষেবা শক্তিশালীকরণ) ডা. মো. আজিজুর রহমান খান ও রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আমন্ত্রণে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিতব্য এ সভায় দক্ষিণ এশিয়ার ১৫টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিবেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রেরিত পত্র সূত্রে ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া জানান, চার দিনের এ আঞ্চলিক সভায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকে WHO দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা বর্জ্যের নিরাপদ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য সিস্টেম এবং প্রক্রিয়াগুলিকে শক্তিশালী করার বিষয়ে আলোচনা হবে। এ বৈঠকের নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য হল, কোভিড-১৯ সহ সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাবের সময় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রস্তুতি সহ দেশগুলিতে স্বাস্থ্যসেবা বর্জ্যের নিরাপদ এবং টেকসই ব্যবস্থাপনার বিষয়ে অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং আপডেট করা। জলবায়ু সহনশীল এবং পরিবেশগতভাবে টেকসই স্বাস্থ্যসেবা সুবিধার প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যসেবা বর্জ্যের নিরাপদ এবং টেকসই ব্যবস্থাপনার জন্য ভাল অনুশীলন, কৌশল এবং পদ্ধতি এবং প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা করা। জলবায়ু পরিবর্তন, জরুরি প্রস্তুতি সহ উদীয়মান সমস্যাগুলির মধ্যে সংযোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, দেশ পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা এবং প্রক্রিয়া উন্নত করার বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে একমত হওয়া।
ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার এ সভা থেকে লব্ধ অভিজ্ঞতা, রামু উপজেলার স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারবো। আমার অভিজ্ঞতাগুলো কক্সবাজার জেলায় প্রতিফলিত হবে। উদাহরণ হবে দেশের জন্যে।