রামুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২ আগস্ট) বিকাল ৫টায় রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন, কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল। বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক রেজা’র সভাপতিত্বে রামু উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডের ঘটনায় জিয়াউর রহমান জড়িত এতে কোনো সন্দেহ নাই। জিয়াউর রহমান খুনিদের নিরাপদে বিদেশে পাঠিয়ে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন। শুধু তাই নয়, এ হত্যার বিচার যেনো না হয়, সেই আইনও পাস করেছিলেন। খন্দকার মোশতাকের প্রধান সেনাপতি জিয়াউর রহমান বন্দুক উঁচিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশের গনতন্ত্র ধ্বংস করেছিলেন।
কক্সবাজার সদর, রামু, ঈদগাও আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বেঁচে ছিলেন বলেই, আজ বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, স্বাধীনতা ও মুক্তি সম্ভব হয়েছে। শেখ হাসিনা যদি বেঁচে না থাকতেন, কে উপহার দিতেন উন্নয়নশীল আলোকিত বাংলাদেশ।
সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের মাস্টারমাইন্ড, খুনি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড খুনি তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
সভায় স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডে নিহতদের স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানাতে উপজেলার এগার ইউনিয়নে শোকসভা এবং রামু স্টেডিয়ামে ‘শোকাবহ আগস্ট ও মেজবান’ উদযাপন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ উপলক্ষে কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য ফরিদুল আলমকে চেয়ারম্যান ও ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভূট্টোকে মহাসচিব নির্বাচিত করে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট ‘শোকাবহ আগস্ট ও মেজবান’ উদযাপন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রামু উপজেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগ সভাপতি তপন মল্লিকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জাফর আলম চৌধুরী, জেলা পরিষদ সদস্য ফরিদুল আলম, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক মহিলা সম্পাদক মুসরাত জাহান মুন্নী, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন, ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভূট্টো, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু মোহাম্মদ ঈসমাইল নোমান, চাকমারকুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য নুরুল হক, গর্জনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ফরিদ আহমদ চৌধুরী, রামু উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নীতিশ বড়ুয়া, রামু সোনালী অতীত ফুটবল ক্লাবের সভাপতি পলক বড়ুয়া আপ্পু, আওয়ামীলীগ নেতা এম এম আবুল কালাম আজাদ, রফিক আহমদ, আবছার কামাল সিকদার, জহির উদ্দিন চৌধুরী, রুস্তম আলী, জহির উদ্দিন সিকদার,জহির আহমদ, আমীর হামজা মেম্বার, শিক্ষক নেতা ছৈয়দ নজরুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগ নেতা মিজানুর রহমান, রামু উপজেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিক, সহ-সভাপতি আনছারুল হক ভূট্টো, খুনিয়া পালং ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবদুল্লাহ বিদ্যুৎ, কচ্ছাপিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল সিকদার, যুগ্ম আহবায়ক এম সেলিম, খুনিয়া পালং ইউনিয়ন স্বেচ্ছা সেবকলীগ সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, স্বেচ্ছা সেবকলীগ নেতা কামাল শিশির প্রমুখ।