রামুতে এসএসসি জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে উপজেলার সেরা হয়েছে বাঁকখালী উচ্চ বিদ্যালয়। সদ্য প্রকাশিত ফলাফলে শতভাগ পাস নিয়ে ওই বিদ্যালয়ের ২৮ জন ছাত্রছাত্রী এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে। ২০১৪ সালে বাঁকখালী ফাউন্ডেশন রামু বাঁকখালী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে। এরপর থেকে পরিচালনা পরিষদের সঠিক ব্যবস্থাপনায় রামুর প্রাচীন স্বনামধন্য বিদ্যালয়গুলোকে পেছনে ফেলে, বরাবরই রামু বাঁকখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এসএসসিতে ঈর্ষনীয় সাফল্য ধরে রেখেছে। গত বছরও রামু বাঁকখালী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৮ জন ছাত্রছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে বলে জানান, বাঁকখালী ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইজত উল্লাহ।
পাঠ অনুমতি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে জানিয়ে রামু বাঁকখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র দাশ জানান, ৯ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়ে সঠিক পাঠ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার কারণে প্রতিবছর এসএসসি জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ঈর্ষনীয় সাফল্য অর্জন করে চলছে।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছরে রামু উপজেলার ২১টি উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি পরীক্ষায়, ৫টি বিদ্যালয় কারিগরি বিভাগে এবং ১১টি মাদ্রাসা দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে রামুর ২১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফলাফল মূল্যায়নে ৩৫ জন জিপিএ-৫ পেয়ে মনসুর আলী সিকদার আইডিয়্যাল স্কুল সেরা বিবেচিত হয়েছে। তবে রামু বাঁকখালী উচ্চ বিদ্যালয় ও সাইমুম সরওয়ার কমল উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা মনসুর আলী সিকদার আইডিয়্যাল স্কুলের হয়ে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। মনসুর আলী সিকদার আইডিয়্যাল স্কুলের জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৩৫ জনের ২৮ জনই রামু বাঁকখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
পাঠ অনুমতি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে জানিয়ে রামু বাঁকখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র দাশ জানান, ৯ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়ে সঠিক পাঠ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার কারণে প্রতিবছর এসএসসি জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ঈর্ষনীয় সাফল্য অর্জন করে চলছে।
জানা গেছে, এসএসসি ও কারিগরি বিভাগে সম্মিলিত ভাবে জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে রামু উপজেলায় সেরা সাফল্য দেখিয়েছে রামু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ের ৩৩ জন ছাত্রী (এসএসসি ও কারিগরি) জিপিএ-৫ পেয়েছে। রামু উপজেলায় এসএসসিতে শতভাগ পাশ নিশ্চিত করেছে রামু ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল, রামু ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল ও রামু বাঁকখালী উচ্চ বিদ্যালয় এবং কারিগরি শাখায় শেখ হাসিনা জোয়ারিয়ানালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস জানায়, রামু উপজেলার ২১ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩৮ জন। পরীক্ষা দিয়েছে ১৯৮২ জন। পাশের হার ৮০ দশমিক ৪৭ শতাংশ। কারিগরি শাখায় ৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫০ জন। পরীক্ষা দিয়েছে ৪২৮ জন। পাশের হার ৯৬ দশমিক ০৩ শতাংশ। দাখিল পরীক্ষায় ১১ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৫ জন। পরীক্ষা দিয়েছে ৬৩৩ জন। পাশের হার ৯৩ দশমিক ০৭ শতাংশ।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. নাছির উদ্দিন, রামু উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি জানান, রামু ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলে ৬৬ পরীক্ষার্থীর মধ্যে, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৫ জন। পাসের হার শতভাগ। রামু ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুলে ৫৪ পরীক্ষার্থীর মধ্যে, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২ জন। পাসের হার শতভাগ।
মনসুর আলী সিকদার আইডিয়্যাল স্কুলের ১৬৬ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৫৯ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৫ জন। তবে এ বিদ্যালয়ের হয়ে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে রামু বাঁকখালী উচ্চ বিদ্যালয় ও সাইমুম সরওয়ার কমল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রামু বাঁকখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬৭ জন পরীক্ষার্থী সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৮ জন। সাইমুম সরওয়ার কমল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩০ জনের পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৫ জন পাস করেছে। এ বিদ্যালয়ের কেউ জিপিএ-৫ পায়নি।
পানির ছড়া এস এইচ ডি মডেল হাই স্কুলের ৩৩ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৩০ জন। এ বিদ্যালয়ে কেউ জিপিএ-৫ পায়নি। আলহাজ ফজল আম্বিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০২ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৯৩ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ জন। ঈদগড় এএমবি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯৫ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৮৩ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন। এ কে আজাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৭৮ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন। জোয়ারিয়ানালা এইচএম সাঁচি উচ্চ ৬৯ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৫৮ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন। এ বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখায় ৪২৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৪১১ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ জন।
রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৩৩ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১১১ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন। এ বিদ্যালয়ে কারিগরি শাখায় ১০২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১০১ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ জন। ধেচুয়াপালং উচ্চ বিদ্যালয়ে ১১৭ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৮৯ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। নাদেরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯৭ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৭৬ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন। শেখ হাসিনা জোয়ারিয়ানালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৪০ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন। এ বিদ্যালয়ে কারিগরি শাখায় ২৬ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে।
রামু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৬৬ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৩২ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬ জন। এ বিদ্যালয়ে কারিগরি শাখায় ৯২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৮৬ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭ জন। কাউয়ারখোপ হাকিম-রকিমা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১১৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৯৩ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন। কচ্ছপিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১১৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৮৯ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। দক্ষিণ মিঠাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬৮ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৫২ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। পশ্চিম গোয়ালিয়া পালং এসইএসডিপি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮৬ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৬১ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন।
গর্জনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ১১৩ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৮১ জন। এ বিদ্যালয়ে কেউ জিপিএ-৫ পায়নি। জারাইলতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১১২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৭৯ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। আল ফুয়াদ একাডেমিতে ১০৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৫৯ জন। এ বিদ্যালয়ে কেউ জিপিএ-৫ পায়নি। বদিউল আলম স্মৃতি বিদ্যাপীঠ এর ২৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১২ জন। এ বিদ্যালয়ে কেউ জিপিএ-৫ পায়নি।
কারিগরি শাখায় রামু টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটে ১৬৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৬০ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন।
রামুতে দাখিল পরীক্ষায় ১১ মাদ্রাসার ৬৩৩ জনের মধ্যে পাস করেছে ৫৯০ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৫ জন।