গত ৪ দিনের টানা বর্ষণে রবিবার (৬ আগষ্ট) সকাল থেকে বান্দরবানের লামা উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এদিকে টানা বর্ষণের ফলে লামা পৌরসভার বেশ কিছু জায়গায় ছোটখাট পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। কয়েকজনের ঘরবাড়ি আংশিক চাপা পড়লেও পাহাড় ধসে তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এদিকে পাহাড়ি ঢলে লামা-আলীকদম সড়কের পাঁচ স্থানে পানিতে রাস্তা ডুবে যাওয়ায় আপাতত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, লামা পৌর শহরের নয়াপাড়া, টিএন্ডটি পাড়া, চেয়ারম্যান পাড়া, পাহাড় পাড়া, উপজেলা পরিষদের আবাসিক এলাকা, বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কয়েক শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। লামা-আলীকদম সড়কের লাইনঝিরি, ছাগলখাইয়া, শিলেরতুয়া, কেরারঝিরি, দরদরাঝিরি এলাকায় রাস্তা পানির নিচে ডুবে গেছে। এতে করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অতি বৃষ্টির ফলে মাতামুহুরী নদী সহ লামার সবকয়টি খালে বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে লামা পৌর শহরে চেয়ারম্যান পাড়া ও নয়া পাড়া, ফাইতং ইউনিয়নের বড় মুসলিমপাড়া এবং সরই আন্ধারি এলাকায় কয়েকস্থানে পাহাড় ধসের খবর পাওয়া গেছে। রবিবার সকাল থেকে কখনো হালকা কখনো ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। তবে বৃষ্টি বন্ধ হচ্ছেনা। লামা বাজারের বড় আড়ত ও মুদি ব্যবসায়ীরা দোকানের মালামাল নিরাপদে সরিয়ে নিচ্ছে।
লামা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন বাদশা জানান, পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত লামা পৌর শহরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কোন খবর পাওয়ামাত্র আমরা ঘটনাস্থলে ছুঁটে যাচ্ছি।
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তফা জাবেদ কায়সার বলেন, যে কোন দুর্যোগে সহযোগিতার জন্য কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে লামা হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিস, যুব রেড ক্রিসেন্ট ও লামা থানা প্রস্তুত রয়েছে।
ইতিমধ্যে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসতে মাইকিং করা হয়েছে। লামা উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের ৫৫টি প্রাথমিক স্কুল, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসাকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসাবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আসা লোকজনের খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। ছোটখাট দুই একটি পাহাড়ধসের ঘটনার খবর পওেয়া গেছে।