রামুতে আরও ১৯০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে মুজিববর্ষের ঘর প্রদান করা হবে। আজ বুধবার ( ৯ আগস্ট) সকালে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্তকরণ কার্যক্রমের আওতায় মুজিববর্ষের চতুর্থ পর্যায়ে ঘর প্রদান উদ্বোধন করবেন। গতকাল মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুরে রামুতে চতুর্থ পর্যায়ের ২য় ধাপে মুজিববর্ষের ঘর ও জমি প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা মুস্তফা।
দুপুর ১২টায় রামু উপজেলা পরিষদের হিমছড়ি কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিরুপম মজুমদার, রামু প্রেসক্লাব সভাপতি নীতিশ বড়ুয়াসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনও ফাহমিদা মুস্তফা বলেন, মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণার সফল বাস্তবায়ন হচ্ছে। এ পর্যন্ত রামুতে ১ হাজার ২৭ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পেয়েছে মুজিববর্ষের ঘর ও জমি। আরও ৩৮ পরিবারকে মুজিববর্ষের ঘর ও জমি প্রদান সম্পন্ন হলেই, রামু উপজেলায় আর কোন ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না। তিনি বলেন, এরপরও সমাজের পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতিতে যদি রামুতে ভূমিহীন ও গৃহহীন সনাক্ত হয়, তাদেরকেও এ কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ইউএনও জানান, রামু উপজেলায় হালনাগাদ নিরুপিত ইতিপূর্বে ১ম, ২য়, ৩য় পর্যায়ে ভূমিহীন ও গৃহহীন ৮৩৭টি পরিবারকে গৃহ ও জমি হস্তান্তর করা হয়েছে। গত ২২ মার্চ চতুর্থ পর্যায়ে বরাদ্দপ্রাপ্ত ৩২২টি ঘরের মধ্যে ১৩২টি ঘর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। রামু উপজেলায় এ পর্যন্ত ৮৩৭ টি মুজিববর্ষের ঘর উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার চতুর্থ পর্যায়ের ২য় ধাপে ভূমিহীন ও গৃহহীন ১৯০ পরিবারকে ঘর ও জমি প্রদান করা হবে। তিনি আরও জানান, রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের হাজির পাড়া এলাকায় ৭৩টি, কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের পূর্ব জুমছড়ি এলাকায় ৪০টি, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম এলাকায় ৪০টি, রাজারকুল ইউনিয়নের চৌকিদার পাড়া এলাকায় ৩০টি, জোয়াবিয়ানালা ইউনিয়নের ঘোনারপাড়া এলাকায় ০২টি, চৌধুরীপাড়া এলাকায় ১টি, হাসপাতালপাড়া এলাকায় ৪টি মুজিববর্ষের ঘর প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে উদ্বোধন করবেন।
ইউএনও ফাহমিদা মুস্তফা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুবিজুবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল বাঙ্গালী জাতি একটি উন্নত জীবন পাবে। জাতির পিতার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে এত বিপুল সংখ্যক ভূমিহীন-গৃহহীন এরূপ জমিসহ গৃহ প্রদান ইতিহাসে প্রথম এবং সর্ববৃহৎ উদ্যোগ।
তিনি বলেন, সরকার ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মাঝে ভূমির মালিকানাসহ গৃহ প্রদানের পাশাপাশি নির্মিত গৃহে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ ও পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করছেন। এতে করে সরকার নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা, গ্রামেই শহরের সুযোগ-সুবিধা, উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে মানবসম্পদ ও পরিবেশ উন্নয়নের মাধ্যমে পুনর্বাসিত মানুষের জীবন-মানোন্নয়নে কাজ করছেন।