খামারি পর্যায়ে একটি ডিমের উৎপাদন খরচ সাড়ে ১০ টাকা। সব মিলিয়ে খুচরা পর্যায়ে একটি ডিমের দাম ১২ টাকার বেশি হওয়া উচিত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। এই মুহূর্তে দেশে ডিম আমদানির প্রয়োজন নেই বলেও মনে করেন তিনি।
রোববার (১৩ আগস্ট) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে এক সভা শেষে এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
ডিম আমদানির কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না– জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ডিম আমদানির বিষয়টি অন্যভাবে আমরা বিবেচনা করব। এটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিবেচনা করবে কি করবে না, এটি তাদের… (বিষয়)। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে, দেশে যে উৎপাদন আছে, বাজার ব্যবস্থার বিন্যাস করতে পারলে আমদানির প্রয়োজন হবে না।
আপনারা অনুমতি দিলেই ডিম আমদানি করবে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে আপনাদের সিদ্ধান্ত কী– সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে শ ম রেজাউল করিম বলেন, পোল্ট্রি খাতে একটি বিশাল বিপ্লব এসেছে। অনেক ক্ষেত্রে এ খাতে উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু ডিমের বাজারমূল্য অস্বাভাবিক হওয়ায় অংশীজনদের নিয়ে আজ মন্ত্রণালয়ে সচিবের নেতৃত্বে একটি সভা হয়েছে। সেখানে আমাদের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সার্ভে অনুযায়ী, একটি ডিম উৎপাদনে সাড়ে ১০ টাকার ওপর খরচ পড়ে। তারপর অন্যান্য ছোটোখাটো বিষয় নিয়ে কিছু লাভের বিষয় থাকে।
‘আমার কাছে মনে হয়েছে, একটি ডিমের দাম ১২ টাকার বেশি নির্ধারিত হওয়া উচিত নয়। ১২ টাকা নির্ধারিত হলে যারা উৎপাদনকারী তাদের লাভ হবে।’
তিনি বলেন, আমরা আশা করি, দাম ১২ টাকার মধ্যে রেখে তারা ডিম বিপণনের ব্যবস্থা করবেন।
আজ বাজারে ১৭০ টাকা ডিমের ডজন, এই দায় আসলে কার– এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা উৎপাদনকারীদের বিভিন্নভাবে অনুরোধ করেছি, বোঝানোর চেষ্টা করেছি। এরপরও যদি কেউ জনদুর্ভোগ ডেকে নিয়ে আসেন তা দেখভাল করার জন্য ভোক্তা অধিকার আইন আছে। ভোক্তাদের অধিকার দেখার জন্য কর্তৃপক্ষ আছে। তারা প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেবেন।
ডিমের দাম আপনারা নির্ধারণ করে দেবেন কি না– জানতে চাইলে শ ম রেজাউল করিম বলেন, এটা দাম নির্ধারণ করার বিষয় নয়। এর আগে ২০১০ সালে ছোটো বাচ্চা মুরগি ও অন্যান্য বিষয়ের দাম নির্ধারণের বিষয় উঠেছিল। সেক্ষেত্রে আদালত প্রশ্ন তুলেছিলেন, মন্ত্রণালয় এভাবে দাম নির্ধারণ করে দিতে পারে না।
তবে আজ অংশীজনদের সঙ্গে বসে আমাদের সার্ভে অনুযায়ী দেখিয়েছি, সাড়ে ১০ টাকা উৎপাদন খরচ হলে, ১২ টাকায় বিক্রি হলে তারা প্রচুর লাভ করতে পারবে। এর বাইরে কেউ অস্বাভাবিক অবস্থা তৈরি করলে ভোক্তা অধিকার আইনের আওতায় যারা কর্তৃপক্ষ, তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে, বলেন মন্ত্রী।
সূত্র : ঢাকা পোস্ট