ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভদ্রলোকের যদি এতোই আত্মবিশ্বাস থাকে যে তিনি অপরাধ করেননি, তাহলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিবৃতি ভিক্ষা করে বেড়াতেন না।
তিনি বলেন, যারা বিবৃতি দিয়ে তার বিচার স্থগিত করতে বলেছেন তাদের বলছি, বিবৃতি না দিয়ে আইনজীবী পাঠাক। এক্সপার্টরা দেখুক, অনেক কিছু পাবেন। আমাদের দেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। সবকিছুই আইনমতো চলে। কেউ যদি ট্যাক্স (কর) না দেয় আর যদি শ্রমিকের অর্থ আত্নসাৎ করে, শ্রমিকদের পক্ষ থেকে যদি মামলা করা হয়… আমাদের কি সেখানে হাত আছে যে মামলা বন্ধ করে দেবো?
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে চলা শ্রম আদালতের মামলার বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করার অনুরোধ জানিয়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন ১৭৫ বিশ্বনেতা। চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস হোর্তা, আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট মেরি রবিনসন এবং জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুনও রয়েছেন বলে বিবৃতিতে জানিয়েছেন স্যাম ডেলি-হ্যারিস।
এ বিষয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফর সম্পর্কে অবহিত করতে আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী।
ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে গত ২২ আগস্ট রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে যান প্রধানমন্ত্রী। দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসার আমন্ত্রণে তিনি ২২-২৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন।
সম্মেলন শেষে রোববার সকালে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী।
ড. ইউনূসের মামলা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, মামলা তো আমরা করিনি। কর ফাঁকির জন্য মামলা করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), যদি কেউ কর ফাঁকি দেয় তাকে তো কর দিতে হবে। তিনি তো ফাঁকি দেওয়া কর দিচ্ছেনও।
কর দেওয়া সকল নাগরিকের দায়িত্ব উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন রাখেন— ইংল্যান্ড, আমেরিকা এবং ইউরোপে ফাঁকি দিলে সরকার তাদের কোলে তুলে নাচায়?
সূত্র : ঢাকা পোস্ট