মফস্বল সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জিং বিষয়কে ধারণ করে, নানা আয়োজনে রামু প্রেসক্লাবের ৩৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে রামু প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণাঢ্য র্যালী বের করা হয়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিরুপম মজুমদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর আহমদ, সুশাসনের জন্য নাগরিক ‘সুজন’ রামু উপজেলার সভাপতি মাস্টার মোহাম্মদ আলম, রামু উপেজলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সুবীর বড়ুয়া বুলু, রামু প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দর্পণ বড়ুয়া, রামু প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ সহ সর্বস্তরের জনতা বর্ণাঢ্য এ র্যালীতে অংশ নেন। র্যালীটি রামু উপজেলা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এসে শেষ হয়। র্যালী ও আলোচনা সভা শেষে কেক কেটে রামু প্রেসক্লাবের ৩৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হয়। দুপুর ১২টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়, রামু প্রেসক্লাবের ৩৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা।
রামু প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাবেক সভাপতি ছড়াকার দর্পণ বড়ুয়া’র সভাপতিত্বে এ সভায় সম্মানিত অতিথির বক্তৃতা করেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর আহমদ, সুশাসনের জন্য নাগরিক ‘সুজন’ রামু উপজেলার সভাপতি মাস্টার মোহাম্মদ আলম, রামু উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সুবীর বড়ুয়া বুলু ও রামু প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি খালেদ শহীদ।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, মফস্বলে সাংবাদিকতা করা চ্যালেঞ্জিং বিষয়। মফস্বল সাংবাদিকদের সব বিষয়ে ধারণা রাখতে হয়। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করতে গিয়ে, অনেক সময় অপসাংবাদিতার বিরুদ্ধেও অবস্থান নিতে হয়। রামু প্রেসক্লাব সদস্যরা বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাকে ধারণ করেন, লালন করেন। সাংবাদিকতার পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি রামু উপজেলার উন্নয়ন কর্মকান্ডে ভূমিকা রাখছেন তারা। এলাকার সমস্যা-সম্ভাবনাকে লেখনির মাধ্যমে উপস্থাপন করে, প্রশাসন থেকে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় জনতাকে উপজেলার উন্নয়ন কর্মকান্ডে সমৃক্ত করার দ্বায়িত্ব পালন করছেন রামুর সাংবাদিকরা। একই সাথে ক্রীড়া, সাহিত্য, সংস্কৃতিকেও সমৃদ্ধ করে চলছেন।
সম্মানিত অতিথিরা বলেন, সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। সাংবাদিকতার নামে ধান্ধাবাজি করা নয়। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় থেকে অপসাংবাদিতাকে প্রতিহত করতে হবে রামু প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দকে। রামু উপজেলার মতো মফস্বল এলাকায়ও যোগ্য-শিক্ষিত সাংবাদিক তৈরিতে ভূমিকা রাখবে রামু প্রেসক্লাব। রামু প্রেসক্লাবের ৩৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আয়োজনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের মাঝে ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে।
রামু প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোয়েব সাঈদ স্বাগত বক্তৃতা ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তৃতা করেন- রামু প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি এস এম জাফর, এম আবদুল্লাহ আল মামুন ও খালেদ হোসেন টাপু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আল মাহমুদ ভূট্টো, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাসেম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাছির উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক ওবাইদুল হক নোমান, দপ্তর সম্পাদক হাসান তারেক মুকিম, সহ-দপ্তর সম্পাদক শওকত ইসলাম, প্রচার সম্পাদক হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর, সহ-প্রচার সম্পাদক আবুল কাশেম সাগর, কার্যকরী সদস্য জহির উদ্দিন খন্দকার, মুহাম্মদ আবু বকর ছিদ্দিক, কফিল উদ্দিন, সদস্য প্রসূন বড়ুয়া, হামিদুল হক, হাবিবুর রহমান সোহেল, আহমদ ছৈয়দ ফরমান, এমএইচ আরমান, নুরুল হক সিকদার, সুজন চক্রবর্তী, মোহাম্মদ সাইদুজ্জামান, মো. আবদুল্লাহ, মিজানুল হক প্রমূখ।
আলোচনা সভা শেষে রামু প্রেসক্লাবের সমৃদ্ধির জন্য দোয়া কমনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন, রামু প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর। রামু প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন দিনে, জরুরী কাজে ঢাকায় অবস্থান করেন, রামু প্রেস ক্লাবের সভাপতি নীতিশ বড়ুয়া। মুঠোফোনে উপস্থিত সুধীজনদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানান তিনি।
আলোচনা সভায় বক্তারা, ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় রামু প্রেসক্লাব। রামুতে প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখায়, রামু প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা আমীর হোসাইন হেলালী, তপন চক্রবর্তী, স্বদেশ শর্মা, দীপক বড়ুয়া, দর্পণ বড়ুয়া ও এস মোহাম্মদ হোসেনকে স্মরণে শ্রদ্ধা জানানো হয়। একই সাথে বিনম্র শ্রদ্ধা জানানো হয়, রামুর কৃতি সন্তান প্রয়াত সব্যসাচী লেখক-কবি আশীষ কুমার ও রামু প্রেসক্লাবের প্রয়াত সদস্য আবীর বড়ুয়াকে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় সাংবাদিকতায় গুরুদায়িত্ব পালন করছেন, রামুর কৃতিপুরুষ সাংবাদিকদেরও সম্মান ও শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং রামুর কবি ও প্রাবন্ধিক এম সুলতান আহমদ মনিরীর সুস্থতা কামনা করা হয়। সবশেষে অতিথি ও প্রেসক্লাবের সদস্যরা মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেন।