কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বমু বিলছড়ি ইউনিয়নের বমুর কুল পূর্বাংশ ফকির ঝিরি এলাকায় দিনমজুর শাহ আলম (৩২) নামে এক ব্যক্তির বসত ভিটা ও ফজল বাগান জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা। এ ঘটনায় চকরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর ) সকাল ১০ টায় চকরিয়া থানায় উপস্হিত হয়ে অভিযোগ করেন দিনমজুর শাহ আলম।
অভিযুক্তরা হলেন- মোঃ মিজানুল হক (৪০) পিতা- মৃত আবদুল গনি, মনছুর আলী পিতা মৃত আব্দুস সোবাহান, মোজাম্মেল হক মিশা (৩৪) পিতা-অজ্ঞাত, মঈনুল ইসলাম অভি (২২) পিতা- সোলতান আহাম্মদ, শাহেদুল ইসলাম (১৯) পিতা- রুহুল আমিন, ছাদেকুর রহমান (১৮) পিতা- ছব্বির আহমদ। সর্বসাং- বমুরকুল, ৬নং ওয়ার্ড, বমুবিলছড়ি ইউনিয়ন, উপজেলা- চকরিয়া, জেলা- কক্সবাজার।
অভিযোগে দিনমজুর শাহ আলম বলেন, আমি লামা বন বিভাগের আওতাধীন বন বিভাগের সামাজিক বনায়নের দখলদার, প্লটের উপকারভোগী হিসেবে দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ বসতি ও ফলজ, বনজ বাগানে চাষাবাদ করে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করে আসছি। অভিযুক্তরা আমাদের জমি অবৈধ দাবিসহ বেদখল করার পায়তারা চালিয়ে আসিছিল।
গত ০৮/০৯/২৩ইং সকাল অনুমান ১০ টার বিবাদীরাসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জন বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বমু খালের পশ্চিম পাড় থেকে পূর্ব পাড়ে এসে আমার বসতবাড়ীতে প্রবেশ আমার সৃজিত বাগানের ৭/৮ বছর বয়সী আম, আগর, কলা, লেবু ও লিচুসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কাটতে শুরু করে।
আমি তাদের কাজে বাধা দিতে গেলে বিবাদীরা আমাকে অশ্লীল অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। বিবাদীরা আমাকে খুনের উদ্দেশ্যে আমার দিকে তেড়ে আসে এবং বলে যে, বেশি বাড়াবাড়ি করলে আমাকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলবে এবং একপর্যায়ে আমার শার্টের কলার ধরিয়া টানা হেঁচড়া করে। পরে আমি দৌড়ে পালিয়ে রক্ষা পাই। তারা আমাদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে জীবনের নিরাপত্তার কারণে থানায় অভিযোগ করছি।
বমু বনবিট কর্মকর্তা অঞ্জন বিশ্বাস বলেন, এগুলো আমাদের বন বিভাগের সামাজিক জায়গা। আমরা ঘটনার পর বনজ গাছের চারা রোপন করে দিয়েছি। কেউ পুনরায় সমস্যা সৃষ্টি করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে এস আই গোলাম সরোয়ার বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এটি সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।