আবদুল আলী সিকদার বংশের দ্বাদশ প্রজন্ম পুরুষ জাহাঙ্গীর আলম সিকদার ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাত ১২টার সময়ে তিনি রামুর পূর্ব ধেচুয়াপালং দারিয়ারদীঘি বড় ঢেফা এলাকাস্থ নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সমাজসেবক জাহাঙ্গীর আলম সিকদার দীর্ঘ দিন শারীরিক ভাবে অসুস্থ ছিলেন।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর দুপুর আড়াইটায় খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পূর্ব ধেচুয়াপালংস্থ ‘দারিয়ারদীঘি বড় ঢেফা দারুল উলুম মাদ্রাসা’ মাঠে মরহুমের নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন, আবদুল আলী সিকদার বংশের প্রজন্ম পুরুষ আ হ ম নুরুল কবির হিলালী। নামাজে জানাজা পূর্ব সংক্ষিপ্ত স্মরণ সভায় মরহুম জাহাঙ্গীর আলম সিকদারের জন্য দোয়া প্রার্থনা করে বক্তৃতা করেন, হাফেজ মাওলানা মহিবুল্লাহ, ইউপি সদস্য ডা. নছরুল্লাহ, মরহুমে একমাত্র ভাই ডা. আবদুর রাজ্জাক সিকদার, মেঝ ছেলে মোতাহেরুল ইসলাম আসিফ সিকদার।
মরহুম জাহাঙ্গীর আলম সিকদার রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পূর্ব ধেচুয়া পালং দারিয়ারদীঘি বড়ঢেফা নিবাসী, আবদুল আলী সিকদার বংশের হায়দার আলী সিকদার প্রজন্ম পুরুষ মরহুম মালেকুজ্জামান সিকদারের বড় ছেলে। মরহুম আবদুল বারী সিকদারের নাতি।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৫৭ বছর। তিনি দুই ছেলে, এক ভাই, দুই বোন, আত্মীয় স্বজন সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর স্ত্রী বিগত দুই বছর সাড়ে তিন মাস পূর্বে এবং ১৩ বছর পূর্বে বড় ছেলে মারা যান।
মায়ের মৃত্যুর পরে, বাবাও মারা যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন, মরহুম জাহাঙ্গীর আলম সিকদারের দুই ছেলে মোতাহেরুল ইসলাম আসিফ সিকদার ও রামু ধেচুয়াপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র তাজ উদ্দিন সিকদার।
মরহুম জাহাঙ্গীর আলম সিকদারের মৃত্যুর খবরে আত্মীয়-স্বজন, সামাজিক অঙ্গন ও আবদুল আলী সিকদার বংশসহ এলাকার সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে আসে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে নামাজে জানাজার পরে স্থানীয় বড়ঢেফা কবরস্থানে মরহুম জাহাঙ্গীর আলম সিকদারকে দাফন করা হয়েছে।