রামুতে নিখোঁজ শান্তিবালা বড়ুয়ার মরদেহ দুই দিন পর বাঁকখালী নদীতে পাওয়া গেছে। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে রামু উপজেলার শিকলঘাট ব্রীজের পূর্ব পাশে বাঁকখালী নদীতে শান্তিবালা বড়ুয়ার লাশ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে রামু ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদস্যরা বাঁকখালী নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে, রামু থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। ৭৫ বছরে বয়স্কা শান্তিবালা বড়ুয়া রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নের পুর্ব রাজারকুল গ্রামের প্রয়াত সীমান্দ্র বড়ুয়ার স্ত্রী ও সুগত বড়ুয়ার মাতা।
শান্তিবালা বড়ুয়া নিখোঁজের পর থেকে লাশ উদ্ধার পর্যন্ত সার্বক্ষণিক সহযোগিতায় থাকা বৌদ্ধ সুরক্ষা পরিষদ রামু উপজেলা শাখার সভাপতি রিটন বড়ুয়া জানান, গত সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে নিখোঁজ হন শান্তিবালা বড়ুয়া। পরে আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি সহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করা হয়। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বাঁকখালী নদীর পূর্ব রাজারকুল ঘাটে, নিখোঁজ শান্তিবালা বড়ুয়ার সব সময়ে ব্যবহৃত হাতের লাঠি পাওয়া যায়। ধারণা করা হয় শান্তিবালা বড়ুয়া বাঁকখালী নদীতে ডুবে গেছে।
রামু ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদস্যরা মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাঁকখালী নদীতে নিখোঁজ শান্তিবালা বড়ুয়া খোঁজ করে। এক পর্যায়ে উদ্ধারকাজ বন্ধ করা হয়।
রামু ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন কমান্ডার সুমেন বড়ুয়া জানান, খবর পেয়ে বাঁকখালী নদীর শিকলঘাট এলাকা থেকে নিখোঁজ শান্তিবালা বড়ুয়ার মরদেহ উদ্ধার করে, রামু থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা বৌদ্ধ সুরক্ষা পরিষদের সভাপতি প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু জানান, শান্তিবালা বড়ুয়ার লাশ উদ্ধারের পর আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ধর্মীয় বিধি অনুসারে লাশের সৎকারকর্ম রাতেই সম্পন্ন করা হয়েছে।