মানিক বৈরাগী
মানুষের মনের আলো জ্বালাতে জ্ঞানের কোন বিকল্প নেই। একি সাথে মানুষের মাঝে সাংস্কৃতিক জাগরণ তৈরি করতে না পারলে সমাজ থেকে ধর্মান্ধতা, মৌলবাদ, কুসংস্কার দূর করা অসম্ভব। সাধারণভাবে আর্থিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখলে বইমেলা একটি অলাভজনক কাজ।কিন্তু সবসময় লাভের অংক কষলে হয় না। মানুষের তো দায়িত্ববোধও থাকে। একটি সমাজের আর্থ-সামজিক উন্নয়ন, মানুষের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়াতে গেলে সাংস্কৃতিক জাগরণের কোন বিকল্প নেই।
লেখক ও দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা বইমেলা তারই একটি উদ্যোগ। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী সমগ্র বাংলাদেশ হবে বাঙালির সোনার বাংলা সাংস্কৃতিক বলয়। তারই নিরিখে বঙ্গবন্ধু স্টাডি সার্কেল কক্সবাজার শহরে বিগত তিন বছর # শেখ হাসিনা বইমেলা #শিরোনামে বইমেলা আয়োজন করে আসছে। লেখক দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সাংস্কৃতিক বলয় নির্মাণের লক্ষ্যে শুধু শহর কেন্দ্রিক অনুষ্ঠান সর্বস্ব আয়োজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বাংলাদেশের বিখ্যাত কবি লেখক সাংস্কৃতিক চিন্তাবিদদের পরামর্শ মত বঙ্গবন্ধু স্টাডি সার্কেল শেখ হাসিনা বইমেলা উপজেলা পর্যায়ে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়।
গ্রাম থেকে সাংস্কৃতিক জাগরণের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু স্টাডি সার্কেল চকরিয়া কে প্রথম বাছাই করে। চকরিয়া তে স্বাধীনতার পূর্ব থেকে আজ পর্যন্ত কোন বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়নি। চতুর্থ শেখ হাসিনা বইমেলা, চকরিয়ার ইতিহাসে প্রথম বইমেলার গৌরব অর্জন করে। শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে বিগত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, পাঁচ দিনব্যাপী সিস্টেম চকরিয়া কমপ্লেক্স চত্বরে বঙ্গবন্ধু স্টাডি সার্কেল কক্সবাজার, স্বাধীন মঞ্চ, পিস্ ফাইন্ডার, পহরচাঁদা আদর্শ পাঠাগার, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চকরিয়া সরকারি কলেজ শাখা, যৌথভাবে শেখ হাসিনা বইমেলা আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। একি সাথে চকরিয়াতে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হলো প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে চকরিয়ার চিত্রশিল্পী, ভাস্করদের শিল্পকর্ম নিয়ে চিত্রকলা প্রদর্শনী।
শেখ হাসিনা বইমেলা থেকে কক্সবাজার জেলার কবি লেখক, গবেষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সম্মাননা, সেরা বই সংগ্রাহক সম্মাননা প্রদান করা হয়। পাঁচ দিনব্যাপী বিশাল এই কর্মযজ্ঞে আরও ছিলো শিশুকিশোরদের নিয়ে নানান আয়োজন। এরমধ্যে শিশুকিশোর কবিতা উৎসব, সাংস্কৃতিক উৎসব, চিত্রাঙ্কন উৎসব, চকরিয়ায় জন্মগ্রহণকারী সঙ্গীত শিল্পীদের নিয়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শিশুকিশোরদের নিয়ে এ আয়োজনে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক শিশুকিশোরকে মাননীয় সংসদ সদস্য জাফর আলম এর পক্ষ থেকে বই উপহার দেয়া হয়। পাশাপাশি কিডস জোনের পক্ষ থেকে দেয়া হয় ফ্রী চাইল্ড রাইডস ও গেম জোন এ বিনোদনের আয়োজন।
শেখ হাসিনা বইমেলা বাস্তবায়নের জন্য গঠন করা হয় # শেখ হাসিনা বইমেলা বাস্তবায়ন পরিষদ # কমিটির আহবায়ক মনোনয়ন করা হয় সংস্কৃতি কর্মী ও পৌর আওয়ামীলীগ এর সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু ও তরুণ সমাজ কর্মী লেখক তানভীর আহমদ সিদ্দিকী তুহিনকে সদস্য সচিব করে একটি শক্তিশালী মেলা বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়। মেলা সফল ভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন উপ পরিষদ ও গঠন করা হয়। মেলা বাস্তবায়ন পরিষদের সকল সদস্যদের উৎসাহ উদ্ধীপনায় প্রতিটি সদস্য দিনরাত পরিশ্রম করে। কোনপ্রকার ঝামেলা ছাড়াই শেখ হাসিনা বইমেলা সফল ভাবে সম্পন্ন হয়।
চকরিয়া-পেকুয়া আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জাফর আলম এমপি আমাদের প্রধান পৃষ্টপোষক হিসাবে সার্বক্ষণিক উৎসাহিত করেছেন। শেখ হাসিনা বইমেলা উদ্বোধন করেন বরেণ্য কবি,জাতিসত্তার কবি বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা। কৃতজ্ঞতা কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার প্রতি।
মেলায় প্রতিদিন সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক সামাজিক বরেণ্যে ব্যক্তি ও নেতারা অতিথি হিসাবে উপস্থিত হয়ে মেলাকে বিপুল সাফল্য এনে দেয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিকস মিডিয়া, টিভি চ্যানেলের সংবাদ কর্মীরা নিয়মিত সংবাদ পরিবেষণ করে শেখ হাসিনা বইমেলার প্রচার আরও বেশি ত্বরান্বিত করে। আমাদের বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকেরা তাঁদের শিশুকিশোরদের মেলায় বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করেছেন। তাদের প্রতি মেলার পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।
দ্বিতীয় দিন জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ মেলায় অংশগ্রহণ করে মেলার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেন।মেলার আলোচনা সভায় কক্সবাজারের বিভিন্ন আসনের মাননীয় এমপি, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান, আওয়ামীলীগের কক্সবাজার জেলার সাধারণ সম্পাদক সহ চকরিয়া উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি – সাধারণ সম্পাদক শেখ হাসিনা বইমেলা নিয়মিত অংশগ্রহণ করে মেলাকে আরও বেশি অর্থবহ করে তুলেন।
বিশাল এই কর্মযজ্ঞ একা আমার পক্ষে সম্ভব হতো না, যদি জাহেদুল ইসলাম লিটু ও তানভীর আহমদ সিদ্দিকী তুহিন নিয়মিত সক্রিয় না থাকত। আমি আরও বেশি কৃতজ্ঞতা ভালোবাসা আদর জানাবো আগামী চকরিয়ার তারুণ্যের আইকন আমার ভ্রাতুষ্পুত্র তুহিনকে এবং তার একটি অসাধারণ টিমকে। তাদের টিম ওয়ার্ক আসলে সুশৃঙ্খল ও বিনয়ী । ধন্যবাদ আমাদের অগ্রণী কলি আপাকে। ভালোবাসা জানাই আদনান রামিম,শোয়াইবুল ইসলাম, জায়েদ হোসাইন নয়ন,কক্সবাজার কলেজ ছাত্রলীগের আজাদ – জালালকে।
বিশেষ কৃতজ্ঞতা ওস্তাদ সঙ্গীত শিল্পী দীপলাল চক্রবর্তী ও বাংলাদেশ ভারতের জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা ও তারকা শিল্পী আরমান, বন্ধু নওশাদকে। আমার মনে থাকে না বলে যাদের নাম উল্লেখ করতে পারিনি তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে কৃতজ্ঞতা ভালোবাসা জানাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বইমেলার আরও একটি উল্লেখ যোগ্য আকর্শন হলো চকরিয়াতে প্রথম আয়োজিত হলো চিত্রকর্ম প্রদর্শনী। এ প্রদর্শনী সম্ভব হতো না যদি না এস পি চিত্রালয়ের বিকাশ যদি দিনরাত পরিশ্রম না করতো । পাঁচ দিনব্যাপী চিত্রকর্ম প্রদর্শনী সফল করতে বাংলাদেশের অন্যতম চিত্রশিল্পী – ভাস্কর মাহবুবর রহমান চৌধুরী চকরিয়া আরও যারা চারুকলার বিভিন্ন শাখার শিক্ষার্থী, শিল্পীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বসে শিল্প সাধনা করছেন তাঁদের খোঁজে খোঁজে এবং তাঁদের চিত্রকর্ম, বাংলা ক্যালিগ্রাফি, ভাস্কর্য সংগ্র করে চট্টগ্রাম থেকে গাড়ী যোগে চকরিয়া এনেছেন এবং মেলা শেষে এসব দামী দামী শিল্পকর্ম গুলো নিজ দায়িত্বে ঢাকা – চট্টগ্রাম পৌঁছে দিয়েছেন। এই বিশাল দায়িত্ববান কর্ম মাহবুব ভাই ও বিকাশ দাদা কোনপ্রকার সম্মানি ছাড়া করেছেন শুধু আদর্শিক অবস্থান ও মাতামুহুরির টানে। তাদের এই কর্ম ঋণ কখোনই টাকা দিয়ে শোধ করা যাবে না শুধু ভালোবাসা ছাড়া।
এবার মেলায় আমরা যাদেরকে সম্মাননা প্রদান করেছি তারা হলেন-কবিতায় অবদানের জন্য কবি আফিস নূর ও কবি ভাগ্যধন বড়ুয়া। বঙ্গবন্ধু গবেষণা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখালেখিতে অবদানের জন্য জহিরুল ইসলাম সিদ্দিকী (মুক্তিযোদ্ধ, লেখক, গীতিকার) ও আলম তৌহিদ (কবি, গবেষক, ইতিহাসবিদ), কথা সাহিত্যে জয়নাল আবেদিন চৌধুরী (কথা সাহিত্যিক, প্রবীণ শিক্ষক), শিশু সাহিত্যে দর্পন বড়ুয়া (কবি, ছড়াকার), চিত্রকলায় (মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান চৌধুরী (চিত্রশিল্পী, ভাস্কর), গীতিকবি-সুরকার-সঙ্গীতশিল্পী ক্যাটাগরিতে অধ্যাপক রাহগীর মাহমুদ (কবি, গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীত শিল্পী), সিরাজুল ইসলাম আজাদ (গীতিকার, সুরকার, চট্টগ্রামী ভাষার সঙ্গীতশিল্পী), গুণীজন সম্মাননা দিয়েছি ডা: শামসুদ্দিন চৌধুরী (বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক সাংসদ), মোহাম্মদ মমতাজুল হক (বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রবীণ শিক্ষক), শ্রীমান নেপাল চন্দ্র রায় (প্রবীণ শিক্ষক), অধ্যাপক পদ্মলোচন বড়ুয়া (প্রাবন্ধিক, সংস্কৃতিজন), এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে সম্মানিত করেছি ফোরকানুল ইসলাম বাবুল (সঙ্গীতশিল্পী, সুরকার, প্রযোজক), মাহমুদুল হক (প্রবীণ শিক্ষক, সঙ্গীতশিল্পী, নাট্যজন), আবদুল হক (সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠক, নাট্যজন)।তারা কষ্ট স্বীকার করে মেলায় এসে সম্মাননা গ্রহণ করায় সকলের প্রতি রইল আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
ধন্যবাদ ভালোবাসা শ্রদ্ধা কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক কক্সবাজার পৌরসভার সফল মেয়র মুজিবুর রহমান, মাননীয় সংসদ সদস্য আশেখ উল্লাহ রফিক,কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান তানিয়া আফরিন কে।
কৃতজ্ঞতা শেখ হাসিনা বইমেলার থিমসঙ রচয়িতা গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীত শিল্পী ডাক্তার দিপংকর দে’র প্রতি।
মেলায় প্রতিদিন কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান তানিয়া আফরিন ও তার মা আমার শ্রদ্ধেয় ভাবি মহীয়সী শিক্ষক শাহেদা জাফর প্রতিদিন মেলায় এসে মেলার উজ্জ্বল্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন।আরও ধন্যবাদ ভালোবাসা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা,পৌরসভা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন মোহাম্মদ আলমগীরের প্রতি।
শুভেচ্ছা ভালোবাসা প্রকাশ করছি ছাত্রলীগ, যুবলীগ সহ সকল স্তরের কর্মী ও লেখক দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার পাঠকদের প্রতি।
এবার একটু আমার ব্যার্থতা স্বীকার করি কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা পাওয়ার পরে যখন লিটু,তুহিন,রামিম, শোয়াইব সহ উপস্থিত সকল সাহিত্য সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক কর্মীদের সাথে বৈঠকে আমি বলেছি আওয়ামীলীগের সভাপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শেখ হাসিনার কারণে এ বইমেলা নয়।এটি তাঁর লেখক দার্শনিক স্বত্বা কে দেশ জাতি বিশ্বের কাছে জানান দিতে এ বইমেলা ।
আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে নেতাদের দল উপদল অনুসারী অনুসরক থাকে। কিন্ত লেখক শেখ হাসিনা সকল পাঠকের, সকল মানুষের, সকল আওয়ামীলীগের। তাই রাজনৈতিক রাষ্ট্রীয় স্থানীয় সরকার পদাধিকার অনুযায়ী সকল কে নিয়ে এবং সকলের অংশগ্রহণে মেলা আয়োজিত হবে। মেলা বাস্তবায়ন পরিষদের আহবায়ক – সদস্য সচিব আমার এ-ই মতের কোন দ্বিমত করেনি।
কিন্তু চকরিয়া উপজেলা পরিষদের মান্যবর চেয়ারম্যান আমার অনুজ বন্ধু ফজলুল করিম সাইদি কে মেলায় অংশগ্রহণ করাতে পারিনি। অথচ আমাদের মেলা কমিটির রামিম ও শোয়াইব সাইদির কাছ থেকে মেলার ক্রোড়পত্রের জন্য বাণী আনলেন দিলেন,আমার সাথে ফোনালাপ করলেন আমি তাকে দাওয়াত করলাম। একিভাবে চকরিয়া পৌরসভার মান্যবর মেয়র আমার বন্ধুবর আলমগীর চৌধুরীর ও ক্রোড়পত্রের জন্য বাণী দিলেন, ফোনে তাকে দাওয়াত দিলাম কিন্তু তারা এলোনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা কে অন্তত সম্মান জানিয়ে শেখ হাসিনার লেখা দুটো বই ও কিনলো না। এটা আমার একটি চরম ব্যার্থতা ও অযোগ্যতা।
চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মহোদয় মেলার দ্বিতীয় দিন কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, শিক্ষা ও আই সি টি তাপ্তি চাকমা ম্যাম মেলার দ্বিতীয় দিন জেলা প্রশাসকের পক্ষে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শুধু সেদিন তিন ম্যামের সৌজন্যে হয়তো এসেছিলেন। অথচ মেলা আয়োজন প্রসঙ্গে বাংলা একাডেমি কতৃক আয়োজিত উপজেলা সাহিত্য সম্মেলনের প্রথম দিন মাননীয় জাফর আলম এমপি, কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, মান্যবর জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান স্যারের উপস্থিতিতে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে চা-পান বিরতিতে শেখ হাসিনা বইমেলা আয়োজনের প্রসঙ্গ আলোচনায় তিনি উপস্থিত ছিলেন। সেই থেকে গতকাল অবধি তাঁকে আমি নিয়মিত জানিয়েছি মেলার সর্ব বিষয়ে। তাঁকে মেলা আয়োজনের দরখাস্ত প্রদান কালেও সহযোগিতা চেয়েছি। কিন্তু চরম দুর্ভাগ্য হলো তিনি আমাদের এই শেখ হাসিনা বইমেলাকে সচেতন ভাবে এবং খুব কৌশলে এড়িয়ে গেছেন।
মান্যবর জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান স্যারকে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে আমাদের সীমাবদ্ধতা ও উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভার পক্ষ থেকে বই সংগ্রহের ব্যাপারে অনুরোধ জানিয়েছি।তিনি Ok বলে সম্মতি দিয়েছেন । মেলার দ্বিতীয় দিন মঞ্চে আলোচনা সভা শেষ তাপ্তি ম্যামের উপস্থিতি তে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে ও মৌখিক আবেদন করেছিলাম।তাপ্তি ম্যাম ইউ এন ও মহোদয় কে বিষয়টি দেখার জন্য মৌখিক ভাবে বলেছেন।
তারপর ও এমনি কি রহস্য, এমন কি অনিহা শেখ হাসিনা বইমেলার প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান এর।তাকে মেলায় অংশগ্রহণ করাতে না পারা আমার একটি ব্যর্থতা।
বইমেলায় অংশগ্রহণ কারী সকল প্রকাশকের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা। কোন প্রকাশকের সাথে যদি আমি কোন কারণে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে থাকি ক্ষমা প্রার্থী।
কৃতজ্ঞতা ভালোবাসা অংশগ্রহণ কারী প্রতিটি স্কুল, শিক্ষকমণ্ডলী ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রতি।স্কুলের শিক্ষার্থীরা আমাদের প্রতিটি কর্মসূচী তে উৎসাহের সহিত অংশগ্রহণ করেছে।আমি আরও অভিভূত হয়েছি আমাদের চিত্রাঙ্কন উৎসবে আমাদের ধারণার বাইরে প্রায় ২৫০ জন শিশুকিশোর আঁকিয়ে অংশগ্রহণ করেছে।
ধন্যবাদ ভালোবাসা অন্তরা সাংস্কৃতিক একাডেমি, এস পি চিত্রালয়,চকোরী খেলাঘর আসর কে।কৃতজ্ঞতা ভালোবাসা সকলের প্রতি পাশাপাশি সকল দোষত্রুটি ব্যার্থতা আমি মাথা পেতে নিলাম, সকল প্রশংসা আপনাদের ও আমাদের মেলা বাস্তবায়ন পরিষদের।
এখানে উল্লেখ করলে নয় ভাতুষ্পুত্র তানভীর আহমদ সিদ্দিকী তুহিন মেলা সফল করতে তার মেধা-মনন,বিনয় ও ধৈর্যের প্রশংসা না করলে আমি অকৃতজ্ঞ হবো।
প্রশংসা সিস্টেম চকরিয়া কমপ্লেক্স, এরিস্টো ডাইন,এরিস্টো ইন,হইচই কিডস জোনের। কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা দৈনিক কক্সবাজার বার্তা কে