লামার পার্শ্ববর্তী বমু বিলছড়ি ইউনিয়ন এর ফকির ঝিরি এলাকার বমুরকুল পূর্বাংশ (৬ নং ওয়ার্ড) সামাজিক বনায়ন এর মাটি ও গাছ কেটে অপ্রয়োজনীয় রাস্তা করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর ) বিকালে গিয়ে বর্ণিত স্থানে এ সত্যতা পাওয়া যায়।
সরেজমিনে ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়,২০১৪-১৫ সালে সরকারি বন বিভাগ লামা বনবিভাগের অধীনে বমু রিজার্ভ এর ফকিরঝিরি এলাকায় ৮ নং প্লটভূক্ত অংশীদারত্বের মালিক একই এলাকার বদি আলম এর পুত্র শাহ আলম। উক্ত জায়গা দীর্ঘদিন ধরে বাগান বাড়ি নিয়ে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসতেছে।
গত কিছুদিন আগে বনবিভাগের দখলিস্বত্ব মূলে বনবিভাগের জায়গা দখলকারী আলোচিত টিন মিজানুর রহমান এর লোভ- লালসা পড়ে এ জায়গার উপর। প্রায় সময় সেখানে দল বল নিয়ে জায়গা দখল নিতে আসে বলে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন।অন্যের জায়গা দখল নেওয়া তার নেশায়- পেশায় পরিনত হয়েছে। সেখানে নিজেসহ কিছু উশৃংখল যুবক এ কাজে সহায়তা করছে। গত কিছুদিন আগে সে শাহ আলম এর সৃজিত বাগান জায়গা দখল নিতে বাগানে সৃজিত আগর,তেশল,লেবু, কলাসহ বিভিন্ন ধরনের চারাগাছসহ কেটে ফেলে। বনবিভাগের লোক এসে ঐ জায়গায় পুনরায় চারা লাগায়। যার যার অবস্থানে স্থিতি থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এটি একটি সম্পূর্ণরূপে বাই রাস্তা সেখানে মাত্র একটি রোহিঙ্গা বাড়ি সহ ৩টি বাড়ি রয়েছে। সেখানে কামাল উদ্দিন চৌকিদার এর পালিত রোহিঙ্গা মেয়ের জামাই এর পরিবার রয়েছে।
মিজান গং তার অপকর্ম চালিয়ে যেতে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী, জনপ্রতিনিধি, প্রভাশালী ব্যক্তি ও চৌকিাদারকে নিজের পক্ষ করে নেয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার সচেতন ব্যক্তি জানান, সরকারি বনবিভাগের জায়গাতে জনপ্রতিনিধি,চৌকিদার ও অন্য কোন ব্যক্তিরা কোন কাজ বা সিদ্ধান্ত দেওয়া কোন বিধান নাই। তারা শুধুমাত্র সমস্যা সমাধানে সহায়তা করতে পারে মাত্র। পান্ত সরু পথে আইল কিছুদুর পর অন্যের প্লটের ক্ষতি করে বড় অপ্রয়োজনীয় রাস্তা তৈরি করার ঘটনা কি?ফকির ঝিরি (৬)।
এই অপকর্মে সরাসরি নেতৃত্বে দেন স্থানীয় কামাল উদ্দীন চৌকিদার। এদিক থেকে সরকারি কর্মসূচির সাধারন লােকজনকে ;শ্রমিককে বেআইনী কাজে ব্যবহার করা কতটুকু যুক্তিসম্মত। এটি অনেকটা সরকারি প্রকল্পের টাকার আত্মসাৎ করার পায়তারা।
ঐ স্থানে শুধুমাত্র একটি রোহিঙ্গা পরিবার ও ২টি অন্য বাড়ি রয়েছে । এটি অন্যের কুটকৌশলের অপকর্ম।
ছবিতে বড় রাস্তার মত মনে হচ্ছে। গত তিন /চারদিন আগেও এ রকম ছিল না। স্থানীয় এক প্রভাবশালী ভূমি দস্যুর ইন্ধনে এগুলো করা হচ্ছে। তাদের কোন নীতি নৈতিকতার বালাই নেই। এদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রতিবেশির নানা অভিযোগ।
ভুক্তভোগী শাহ আলম ও তার স্ত্রী জানান, আমাদেরকে প্রতিনিয়ত তারা মিজান গং মিথ্যা মামলার ও হুমকি ধামকি দিয়েই যাচ্ছে। প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
স্থানীয় গোপন সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে তাদের নিজেদের সুবিধা ভোগ করতে টিন মিজান ও কামাল উদ্দিন চৌকিদার জড়িত হয়ে বমু রিজার্ভের বড় বড় মাধার গর্জন ,আকাশমনি , সেগুন ও শিকরি কাঠ কেটে নিতে এত বড় রাস্তা করার পরিকল্পনা করে ।
এই বিষয়ে আমরা স্থানীয় ৬ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ নুর মোহাম্মদের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে জানান, আমি আবগত নই , এখানে কর্মসূচির কোন কাজ করার কথা না। তবে এই বিষয়টি চৌকিদার কামাল উদ্দিন বলতে পারবেন।
এ বিষয়ে লামার বমু বন বিট কর্মকর্তা অঞ্জন বিশ্বাস জানান, তাদেরকে আগেও নিষেধ করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে যারা এই ঘটনায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।