প্রতিবন্ধী ও সকল শিশুদের জন্য একীভুত শিক্ষা পদ্ধতি থাকতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ ও জনসচেতনতা। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষামুখী করার জন্য, তাদের চাহিদা অনুয়ায়ী সুযোগ, প্রবেশগম্যতা বাড়াতে হবে। স্কুলে আসার পরিবেশ, যাতায়াত ও টয়লেট ব্যবস্থা সহজ করা সহ শিক্ষার্থীদের হাইজিন বিষয়ে আরও বেশি কাজ করতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে রামুতে শিশু ক্ষমতায়ন কর্মসূচি’র আওতায় এসএমসি এবং পিটিএ’র সাথে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
রামু খিজারী বার্মিজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় মন্ডল পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রামু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রামু কেন্দ্রীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং রামু খিজারী বার্মিজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি (এসএমসি) ও অভিভাবক কমিটি’র (পিটিএ) সদস্যরা বক্তৃতা করেন। অর্গানাইজেশন ফর দ্য পুওর কমিউনিটি অ্যাডভান্সমেন্ট (অপকা) প্রোগ্রাম ম্যানেজার সুপম বড়ুয়া এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। উন্নয়ন প্রতিবন্ধী কেন্দ্র ‘সিডিডি’র সহযোগীতায় অপকা’র বাস্তবায়নে রামু উপজেলার চারটি ইউনিয়নে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে চাইল্ড এম্পায়ার প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
সভায় মন্ডল পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ. ন. ম আজগর হোসাইন, রামু খিজারী বার্মিজ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিরুপমা বড়ুয়া, মনিকা বড়ুয়া, এসএমসি সভাপতি ও ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ইউনুস, পিটিএ’র প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম, রামু কেন্দ্রীয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বর্ণা বড়ুয়া, আনোয়ারা বেগম, এসএমসি সদস্য মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ খালেদ, পিটিএ’র সদস্য বিন কাসেম টিপু, কাউয়ারখোপ ইউপি সদস্য মো: কায়েস, শিপ্রা বড়ুয়া, সিরাজুল হক প্রমুখ বক্তৃতা করেন। সিবিআর কণা শর্মা, থেরাপিষ্ট সুজন মিয়া ও রিপন দে’র সার্বিক সহযোগিতায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (৩১ আক্টোবর) এই প্রোগ্রামের আওতায় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ‘অপকা’ ৩০ জন কিশোরী প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে ডিগনিটি কিট প্রদান করে।