আজ শনিবার রামু আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকালে কক্সবাজারে আইকনিক রেলস্টেশনে চট্টগ্রাম-দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধন করবেন। এর মাধ্যমে স্বাধীনতার দীর্ঘ বছর পরে কাংখিত স্বপ্নের বাস্তবায়ন করবেন তিনি। টিকেট কেটে কক্সবাজার রেল স্টেশন থেকে ১১ কিলোমিটার রেলে চড়ে রামু রেল জংশনে আসবেন। পরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশন, রামু সেনাক্যাম্পে যাবেন। এরপর শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়িতে প্রধান অতিথি হিসেবে জনসভায় বক্তব্য রাখবেন।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে সামনে রেখে রামু ও কক্সবাজার শহরজুড়ে চলছে উৎসবের আমেজ। প্রধানমন্ত্রীর আগমনী বার্তায় উন্নয়নে কৃতজ্ঞতা ও অভিবাদন জানিয়ে ব্যানার, ফেস্টুন, সড়কতোরণ নির্মাণে সাজিয়ে তোলা হয়েছে চারিদিক। বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চিত্র রয়েছে এসব ব্যানার, ফেস্টুনে। রয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের প্রচারণাও।
বর্তমান সরকারের মেয়াদের শেষ মুহুর্তে রামুতে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী সহ সর্বস্তরের জনগণের মাঝে বইছে উৎসবের সাজ সাজ রব। সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলোতেও বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশন থেকে রামু রেল জংশন পর্যন্ত রেলে চড়ে আসা প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন জানাতে জনসমুদ্র পরিণত করতে প্রস্তুত হয়েছেন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী সহ সর্বস্তরের জনতা।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনে ও প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বিগত কয়েক সপ্তাহে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী প্রস্তুতি সভা, প্রচার মিছিল ও লিফলেট বিতরণে দিনরাত ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় কর্মকান্ড চালিয়েছে।
রামুবাসীর দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহর শেষ হবে আজ। দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধনের মাধ্যমে রেলে চড়ে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম-ঢাকা যাওয়ার রেল যোগাযোগব্যবস্থা দ্বার উন্মোচন হবে। এখন রামু-কক্সবাজারবাসী রেলগাড়ির বাণিজ্যিক ট্রিপের জন্য উৎসুক অপেক্ষা। কখন পাবে কক্সবাজার-ঢাকা রেল সড়কের টিকেট।
জানা গেছে, আজ ১১ নভেম্বর দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের রেলপথের উদ্বোধন করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন, আইকনিক রেলওয়ে স্টেশন কক্সবাজার। এরপর রেলে চড়ে রামু রেল জংশনে আসবেন। কক্সবাজারে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দাওয়াত প্রাপ্ত ব্যাক্তিবর্গের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা টিকেট দেয়া হবে। তারাও থাকবেন, প্রধানমন্ত্রীর সাথে উদ্বোধনী রেলগাড়িতে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সরকারের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকতে পারলেও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাধারণ যাত্রীদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে সাধারণ যাত্রীরা রেলে চড়ে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম-ঢাকা যেতে পারবেন।
কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল জানান, কক্সবাজার, রামু ও মহেশখালীর মাতারবাড়িতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নেতাকর্মীদের মধ্যেও ব্যাপক আনন্দ বিরাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারের মানুষকে অনেক কিছু দিয়েছেন। তিনি রেল লাইন, সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটসহ অসংখ্য উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। এসব প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। আমরা আশা করছি কক্সবাজার পৌরসভাকে সিটি কর্পোরেশনে উন্নিত করার ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারবাসীকে ১৫০ বছরের জঞ্জাল থেকে মুক্ত করবেন।