দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি চতুর্থবারের মতো নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পাওয়ায় ফুলেল ভালোবাসায় সংবর্ধিত করেছেন নেতাকর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে কক্সবাজার বিমানবন্দরে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পাওয়ায় কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনের নৌকা প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমলকে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়। ঢাকা থেকে মঙ্গলবার বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে বিমানযোগে কক্সবাজার পৌঁছান তিনি।
সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি বলেন, রেললাইন কক্সবাজারবাসীর জন্য হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ উপহার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে দিয়েছেন। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আবারও নৌকা উপহার দেবো ইনশাল্লাহ। দীর্ঘ ১০ বছর আপনারাই আমাকে সংসদ সদস্য রেখেছেন, সহযোগিতা দিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতায় আমরা গ্রামে পাকা রাস্তা দিয়েছি, বাড়ি বাড়ি বিদ্যুত পৌঁছে দিয়েছি। কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ক্রিকেট স্টেডিয়াম, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ, খুরুশকুলে বিশ্বের বৃহত্তম আশ্রয়ণ প্রকল্প, খুরুশকুলের নান্দনিক সেতু, রামু বাঁকখালী নদী ড্রেজিং, ঈদগাঁও নতুন উপজেলাকরণ, গজালিয়া সেতু, চাকমারকুল-রাজারকুল সংযোগ সেতু সহ ১৯টি হাইস্কুল আমরা প্রতিষ্ঠা করেছি। সব কিছুই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান। আমরা প্রত্যেকের সুশাসন নিশ্চিত করতে চাই। সকল দলের মানুষ যাতে শান্তিতে থাকতে পারে, আমরা সেই ব্যবস্থা করতে চাই। আমরা কক্সবাজারের অসম্পূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করতে চাই। রামুতে পৌরসভার দাবি আছে। রামুতে মনিরঝিল ব্রীজ, খরুলিয়া-সিকদার পাড়া সংযোগ সেতু, এসএমপাড়া-ছনখোলা সেতু ও অন্যান্য কাঁচা রাস্তা সহ ঈদগাঁও উপজেলার সমস্যা সমাধান করতে চাই।
সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি আরও বলেন- ২০০৮ সাল থেকে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, করোনাসহ সকল প্রাকৃতিক দূর্যোগে মানুষের পাশে ছিলাম। অগ্নিকান্ডসহ যে কোন দূর্ঘটনার খবর পেলেই মানুষের কাছে ছুটে যেতাম। মানুষের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছিলাম বলেই মানবতার মা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে অনেকের তীব্র বিরোধীতার পরও ৪র্থ বারের মতো নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। এ অর্জন, এ সম্মান আমার প্রিয় কক্সবাজার, রামু, ঈদগাঁও উপজেলাবাসীর কারণে সম্ভব হয়েছে। আবারও নির্বাচিত হলে আমি আপনাদের এ ভালোবাসার প্রতিদান দিতে অতীতের মতো নিজেকে উৎসর্গ করবো।
তিনি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকলকে অংশ নেয়ার আহবান জানিয়ে বলেন- যারা নির্বাচন করতে চান আসুন। নির্বাচনে অংশ নিন। কারো সাথে কোন কথা নয়। নির্বাচনী মাঠেই ফয়সালা হবে। প্রতিপক্ষ যদি এক টাকা খরচ করে, আমার নেতাকর্মীরা ৫ টাকা খরচ করবে। এবারের নির্বাচন হবে কঠিন নির্বাচন। নির্বাচনে খেলা হবে। শেখ হাসিনাকে এ আসন উপহার দেয়ার জন্য সকল নেতাকর্মীকে এখন থেকেই নির্বাচনী মাঠে ঝাপিয়ে পড়ার আহবান জানান তিনি।
বিকালে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছার পর রামু আসার সময় পথে পথে জনতা ফুলেল শুভেচ্ছা, করতালি ও নৌকা নৌকা স্লোগানে মুখরিত পরিবেশে প্রিয় নেতাকে বরণ করেন। এসময় বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোতে পথসভায় এমপি কমল জনতার সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সন্ধ্যায় রামু পৌঁছলে আতশবাজি উৎসব ও বাদ্যের তালে তালে নেচে গেছে এমপি কমলকে বরণ করেন উচ্ছ্বসিত জনতা। পরে চৌমুহনী স্টেশনে উপস্থিত হাজার হাজার জনতার উদ্দেশ্যে এমপি কমলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় নৌকা প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি, বঙ্গবন্ধুর পরিবার ও জাতীয় চার নেতা সহ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এসময় কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ‘বাফুফে’ সদস্য বিজন বড়ুয়া, কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম মাদু, সাধারণ সম্পাদক এড. রেজাউর রহমান, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জাফর আলম চৌধুরী, সাবেক মহিলা সম্পাদক মুসরাত জাহান মুন্নী, ঝিলংজা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান টিপু সুলতান চৌধুরী, ফতেখাঁরকুল ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভূট্টো, চৌফলদন্ডী ইইউনিয়ন চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান, খুরুশকুল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহজাহান ছিদ্দিকী, রশিদনগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এমডি শাহ আলম, চাকমারকুল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার, রাজারকুল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমান, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু মোহাম্মদ ঈসমাইল নোমান, পিএমখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান,
কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য ফরিদুল আলম, সাবেক সদস্য নুরুল হক, কক্সবাজার সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন পুতু, পৌর যুবলীগের সাবেক সভাপতি শোয়েব ইফতেখাঁর, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা নুর আল হেলাল ও রোস্তম আলী চৌধুরী, রামুর সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আলী হোসেন, খুনিয়াপালংয়ের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগ নেতা আবদুল মাবুদ, পৌর কাউন্সিলর রাজবিহারী দাশ, সালাহ উদ্দিন সেতু ও সাহাব উদ্দিন সিকদার, রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি তপন মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিক, রামু উপজেলা যুবলীগ সভাপতি পলক বড়ুয়া আপ্পু, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ আলী,উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক তছলিম ইকবাল সোহেল সহ সাবেক কাউন্সিলর, আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীসহ হাজার হাজার জনতা উপস্থিত ছিলেন।