শেষ কার্য দিবসে রামু পাবলিক লাইব্রেরীতে দুইশত বই দিলেন ইউএনও ফাহমিদা মুস্তফা। রবিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় নতুনরূপে সজ্জিত রামু পাবলিক লাইব্রেরী পরিদর্শন করেন এবং রামু পাবলিক লাইব্রেরীকে মেধাচর্চার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্যে দিকনির্দেশনা মুলক পরামর্শ দেন তিনি। এ সময় রামু পাবলিক লাইব্রেরীর জন্য দুইশত বই প্রদান করেন। বই হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, রামু পাবলিক লাইব্রেরীর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ মুজিবুল হক, সহ-সভাপতি উপজেলা প্রকৌশলী মঞ্জুর হাছান ভুঁইয়া, সদস্য ও রামু উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মাস্টার মোহাম্মদ আলম, সাধারণ সম্পাদক খালেদ শহীদ, রামু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুমথ বড়ুয়া, রামু প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক সোয়েব সাঈদ প্রমুখ।
বই হস্তান্তর শেষে রামু পাবলিক লাইব্রেরীর সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা মুস্তফা বলেন, নতুনরূপে সজ্জিত করে, রামু পাবলিক লাইব্রেরীকে আধুনিক মানের মেধাচর্চার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ শুরু করে ছিলাম। কিন্তু সরকারি নির্দেশনায় প্রশাসনিক কর্মস্থল পরিবর্তন হয়েছে। আজ রবিবার রামুতে আমার শেষ কার্য দিবস। নতুনভাবে সংস্কার ও সজ্জিত করা হলেও রামুর আলোকিত মানুষদের নিয়ে আনুষ্ঠানিকতা করা হলো না। রামু পাবলিক লাইব্রেরীকে, আপনাদের মতো কিছু আলোকিত মানুষের হাতে তোলে দিয়ে যাচ্ছি। আমার বিশ্বাস আপনাদের হাত দিয়েই আবারও পুরোদমে সরগরম হয়ে উঠবে এই মেধাচর্চার কেন্দ্রটি।
ইউএনও ফাহমিদা মুস্তফা বলেন, আমি জেনেছি ৪০ বছর পূর্বে রামুর গুণীজনরা প্রতিষ্ঠান করেছিলেন এই পাবলিক লাইব্রেরী। লাইব্রেরীটির প্রতিটি ধুলোকণায় মিশে আছে তাদের শ্রমের সার্থকতা। এটি এখন ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ। এই পাবলিক লাইব্রেরীকে আধুনিকতার ছোঁয়ায়, আবারও পূণঃজীবিত করা আপনাদের দায়িত্ব। লাইব্রেরী হলো শ্রেষ্ঠ আত্মীয়, যার সাথে সর্বদাই ভালো সর্ম্পক থাকে। আলোকিত মানুষের সব জ্ঞান জমা থাকে বইয়ের ভেতরে। বই হলো অন্তহীন জ্ঞানের উৎস। জ্ঞানের উৎসকে সমৃদ্ধ করতে হবে। আমি কর্মক্ষেত্রে যেখানেই থাকি না কেন, এই লাইব্রেরীকে পূণঃজীবিত করণে আপনাদের সাথে থাকবো।
জানা গেছে, ৪০ বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত রামু পাবলিক লাইব্রেরীর সব বই চুরি হয়ে যায়। করোনা মহামারীর দীর্ঘ সময়ে লাইব্রেরীটি বন্ধ ছিলো। এ সময়ে লাইব্রেরীর পেছনের জানালা ভেঙ্গে দুই-আড়াই হাজার বই চুরি হয়। ওই সময়ে লাইব্রেরীর দুইটি বৈদ্যুতিক লাইট ও একটি পাখা চুরি হয়। রামু উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্ত্বরে, টিনে চালের আধাপাকা রামু পাবলিক লাইব্রেরীটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বই চুরির ঘটনার পরে, রামু পাবলিক লাইব্রেরীর সভাপতি ইউএনও ফাহমিদা মুস্তফার সার্বিক তত্ত্বাবধানে লাইব্রেরীটিকে নতুনভাবে সংস্কার ও সজ্জিত করা হয়। শেষ কার্য দিবস শেষে গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় রামু ত্যাগ করেন, ইউএনও ফাহমিদা মুস্তফা।