মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের উপবৃত্তি সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের মাধ্যমে ২০০৯-১০ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৫৪ হাজার ৬১১ জন শিক্ষার্থীকে ৭ হাজার ২২ কোটি ৪৯ লাখ ৬৩ হাজার ৬০ টাকা উপবৃত্তিসহ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। গত ৯ বছরে সরকারের এই ব্যয় শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। শুধু তাই নয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণও (এনরোলমেন্ট) নিশ্চিত হয়েছে। সার্বিকভাবে এর প্রভাব পড়েছে শিক্ষারগুণগত মানেও।
জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক বৃত্তির বিষয়টি শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধে সহায়ক হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, ঝরে না পড়ায় অনেক শিক্ষার্থীর শিক্ষা নিশ্চিত হয়েছে। শিক্ষার্থী ঝরে পড়া নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি সরকারের এই অর্থ ব্যয় কোয়ালিটি এডুকেশনেও ভূমিকা রাখছে। উপবৃত্তি ছাড়াও মেধাবৃত্তি প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের মাধ্যমে দেওয়া বৃত্তি সামগ্রিকভাবে মানোন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।
সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির আওতায় শিক্ষার মানোন্নয়নে কী ভূমিকা রাখছে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের স্কিম পরিচালক (যুগ্মসচিব) মোহাম্মদ আসাদুল হক বলেন, এসব জানতে চাইলে অফিসে আসতে হবে। বিষয়টি তো ইতিবাচক— তাহলে বক্তব্য দিলে সমস্যা কী জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (এসইডিপি) আওতায় সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচি’র মাধ্যমে ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে মাধ্যমিক ও সমমান পর্যায়ের শিক্ষার্থী এবং ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে মাধ্যমিক ও সমমান পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাসিক ভিত্তিতে ছয় মাস অন্তর অন্তর উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ করা হয়।
এছাড়াও সুবিধাভোগী এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের (এককালীন) পরীক্ষার ফি এবং একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বই ক্রয় বাবদ (এককালীন) আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের উপবৃত্তি সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের মাধ্যমে ২০০৯-১০ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৫৪ হাজার ৬১১ জন শিক্ষার্থীকে ৭ হাজার ২২ কোটি ৪৯ লাখ ৬৩ হাজার ৬০ টাকা উপবৃত্তিসহ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
তাছাড়া ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে উপবৃত্তি প্রদান কার্যক্রম ২০১৫-১৬ অর্থ বছর হতে চালু করা হয়েছে।
সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন