ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। রোববার বিকেলে এ সিদ্ধান্তের কথা জানায় নির্বাচন কমিশন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি পুলিশের এক কর্মকর্তাকে আজ ধমক দিয়েছেন। তার ধমক দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদকে ধমকাচ্ছেন তিনি।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, নিজের অনুসারীকে আটক করায় বাঁশখালী থানায় ওসির কার্যালয়ে গিয়ে এই ঘটনা ঘটান মোস্তাফিজুর।
ইসি সচিব জাহাঙ্গীর আলম জানান, একাধিকবার আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন চট্টগ্রাম-১৬ আসনের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান। আজ নির্বাচনের দিন তিনি পুলিশ কর্মকর্তাকে হুমকি দিয়েছেন। এটিসহ একাধিক কারণে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।
ইসি সচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন সর্বসম্মতিক্রমে বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
ভোট শেষ হওয়ার মাত্র ১৫ মিনিট আগে কেন প্রার্থিতা বাতিল করা হলো— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি হুমকি প্রদর্শন করেছেন তিনি (মোস্তাফিজুর রহমান)।
ইতোমধ্যে মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের মামলা হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি হুমকি প্রদর্শন করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। এটি আচরণবিধির চরম লঙ্ঘন।
ওই আসনে ভোট চলবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই আসনে যদি একাধিক প্রার্থী থাকে তাহলে ভোট চলবে।
উল্লেখ্য, এর আগে সাংবাদিককে মারধরসহ আরও কিছু ঘটনা ঘটিয়েছেন নোৗকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান। যা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্যে পড়ে।
চট্টগ্রামের সব আসনে (১৬টি) এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ১২৫ প্রার্থী। জেলায় মোট ভোটার রয়েছেন ৬৩ লাখ ১৪ হাজার ৩৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩২ লাখ ৮৯ হাজার ৫৯০ জন। নারী ভোটার রয়েছেন ৩০ লাখ ২৪ হাজার ৭৪৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৫৪ জন।
চট্টগ্রামের সব আসন মিলিয়ে মোট ভোটকেন্দ্র ২ হাজার ২৩টি এবং ভোটকক্ষ ১৩ হাজার ৭৩২টি। প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ৪৩ হাজার ২১৯ জন। ১০ শতাংশ অতিরিক্তসহ ভোটগ্রহণের দায়িত্বে আছেন মোট ৪৭ হাজার ৫৪৪ জন।
সূত্র : ঢাকা পোস্ট