মাধ্যমিক স্তরে গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার ও ব্যক্তি উদ্যোগে সারাদেশে আবাসিক স্কুল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দেশে এবারই প্রথম ‘পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ’ (পিপিপি) প্রকল্পের মাধ্যমে এসব স্কুল নির্মাণ করা হবে।
প্রথমে বিভাগীয় পর্যায়ে, পরে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নির্মাণ করা হবে এসব স্কুল।খবর বাংলাট্রিবিউনের।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) সূত্র জানায়, ‘সেকেন্ডারি অ্যাডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম’-এর (সেসিপ) সহায়তায় পিপিপি প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পিপিপি কর্মকর্তারা বর্তমানে ‘প্রকল্প উন্নয়ন পরিকল্পনা’ (ডিপিপি) তৈরির কাজ করছেন। প্রকল্পের কার্যক্রম ও অগ্রগতি জানাতে আগামী ২৭ অক্টোবর রাজধানীর নায়েম একাডেমিতে একটি কর্মশালা হবে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, পিপিপি প্রথমে দেশের বিভাগীয় শহরে এসব আবাসিক মডেল স্কুল নির্মাণ করবে। ইতিবাচক ফল এলে এরপর পর্যায়ক্রমে জেলা, উপজেলা পর্যায়েও নির্মাণ করা হবে। স্কুল পরিচালনার জন্য সরকার ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ২০ থেকে ২৫ বছর মেয়াদি চুক্তি হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ ধরা হয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকা।
জানা যায়, দেশে মাধ্যমিক স্তরে সরকারি স্কুলের চেয়ে বেসরকারি স্কুলের সংখ্যা বেশি। ব্যক্তি উদ্যোগে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হলেও সরকারই মূলত অর্থ-সহায়তা দিয়ে থাকে। এ কারণেই ব্যক্তি ও সরকারি উদ্যোগে হাই স্কুল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পিপিপি ঘোষণার পর ২০১০ সালে পিপিপি নীতিমালা ও কৌশল, ২০১২ সালে পিপিপি কারিগরি সহায়তা অর্থায়ন নীতিমালা (পিপিপিটিএএফ) এবং ২০১২ সালে পিপিপিটিএএফ কর্মসূচি এবং গত বছর পিপিপি আইন করা হয়েছে। এর বাইরে পিপিপি প্রকল্প বাস্তবায়নে বেসরকারি খাতকে আকৃষ্ট করতে গঠন করা হয়েছে ‘বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফিন্যান্স ফান্ড লিমিটেড’ (বিআইএফএফএল) নামের একটি কোম্পানি।
পিপিপি প্রকল্পের সহকারী পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পিপিপির মাধ্যমে মানসম্মত আবাসিক স্কুল নির্মাণ করা হলে শিক্ষা আরও যুগোপযোগী হবে।’