রামুতে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় পৃথক মামলায় পাঁচটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন অপরাধে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে রামু উপজেলার ফকিরা বাজার ও চৌমুহনী স্টেশনে এই অভিযান পরিচালনা করেন, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলার সহকারী পরিচালক হাসান আল মারুফ। এ সময় প্রসিকিউশন অফিসার হিসেবে রামু উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মমতাজ উদ্দিন সহ রামু থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পবিত্র মাহে রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপজেলা পর্যায়ে রামু ফকিরা বাজার ও রামু চৌমুহনী স্টেশনে বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় বলে জানান, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলার সহকারী পরিচালক হাসান আল মারুফ। জনস্বার্থে ভোক্তা অধিকার রক্ষায় অধিদপ্তরের এসব কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
জানা গেছে, দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ মালামাল পাওয়া, মূল্য তালিকা প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হওয়া, পণ্যের গায়ে লেবেল ও মূল্য না থাকা এবং অনুমোদন বিহীন পণ্য রাখা সহ বিভিন্ন অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে রামু ফকিরা বাজারের দুইটি ও চৌমুহনী স্টেশনের তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।
রামু উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মমতাজ উদ্দিন জানান, রামু ফকিরা বাজারে কামাল সওদাগরের চাউলের দোকানে মূল্য তলিকা না থাকায়, হলুদ মরিচের গুঁড়ার দোকান সুলতান ট্রেডার্সে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্য নেওয়ার দায়ে এবং রামু চৌমুহনী স্টেশনে জনুর ফলের দোকান, কমল ফল বিতান ও ছৈয়দ ফল বিতানে মূল্য তালিকা না থাকার দায়ে প্রত্যেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার টাকা করে, মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ওই পাঁচ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে একই অপরাধ পুনরায় না করার জন্য সর্তক করা হয়েছে।