নীতিশ বড়ুয়া:
ভূটানের তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রী ডি এন দুংগিয়েল বলেছেন, রামুর বৌদ্ধ স্থাপত্য নিদর্শন গুলো শুধু বাংলাদেশের সম্পদ নয়। বুদ্ধমূর্তি সমৃদ্ধ অঞ্চল রামুর বৌদ্ধ বিহারগুলো এখন সারা বিশ্বের অনন্য সম্পদ। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়ন ও সহযোগিতা প্রয়োজন।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭টায় বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম দেশ ভূটানের তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রী ডি এন দুংগিয়েল কক্সবাজারের রামুতে ভূবনশান্তি একশ ফুট সিংহশয্যা গৌতম বুদ্ধমূর্তি ও বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র পরিদর্শন কালে এ কথা বলেন।
শুক্রবার সকালে রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের উত্তর মিঠাছড়ি গ্রামে প্রতিষ্ঠিত ভূবনশান্তি একশ ফুট সিংহশয্যা গৌতম
বুদ্ধমূর্তি ও বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রে এসে পৌঁছালে ভূটানের তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রী ডি এন দুংগিয়েল সহ সফর সঙ্গী অতিথিদের স্বাগত জানান, ওই প্রতিষ্ঠান সমুহের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ভিক্ষু করুণাশ্রী থের, সাধারণ সম্পাদক সিপন বড়ুয়াসহ স্থানীয় বৌদ্ধরা।
ভূটানের তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রী ডি এন দুংগিয়েল এর সাথে সফরে আসেন, ভূটানের রাষ্ট্রদূত সোনাম টি রাবগি, মন্ত্রণালয়ের আইসিটি অফিসার পেমা দেনদোপ, সেকেন্ড সেক্রেটারি কালদেন দর্জি। এসময় কক্সবাজার সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং ষ্টেশনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহাজাহান আলী, সহকারী কমিনার (ভূমি) মো. নিকারুজ্জামান, রামু থানার এসআই আবুল খায়ের উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শন শেষে ভূটানের তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রী ভূবনশান্তি একশ ফুট সিংহশয্যা গৌতম বুদ্ধমূর্তি, বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রে প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক ভিক্ষু করুণাশ্রী থের’র সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। পরে অতিথিরা বাংলাদেশসহ বিশ্বশান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্প্রীতি কামনা করে সমবেত প্রার্থনা করেন এবং বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
ভূটানের তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রী ডি এন দুংগিয়েল গত বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজার সফরে আসেন। কক্সবাজার হিলডাউন সার্কিট হাউজে অতিথিকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এসময় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন, পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ সহ বাংলাদেশ ও ভূটানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।