গিয়াস উদ্দিন ভুলু, টেকনাফ:
সীমান্ত নগরী টেকনাফে প্রতিনিয়ত ২ বিজিবি সদস্যদের হাতে ধরা পড়ছে কোটি কোটি টাকা মুল্যের মিয়ানমারে উৎপাদিত মরন নেশা ইয়াবা। তবে বেশির ভাগ ইয়াবা উদ্ধারের সময় কোন পাচারকারি আটক হচ্ছে না। এতে পাচারকারিরা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
ইদানিং সীমান্ত প্রহরী বিজিবি সদস্যদের অভিযানে ধরা পড়ছে লক্ষ লক্ষ মালিকবিহীন ইয়াবা।
বিজিবি সুত্রে জানা যায়, চলতি বছরের মাত্র ৭ মাসের ব্যবধানে সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিজিবি সদস্যদের সাড়াঁশি অভিযানে প্রায় ৩০ লক্ষ মালিকবিহীন ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তবে এই সমস্ত অভিযানে পাচারকারিরা বিজিবি উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। সীমান্তে মাদক পাচার রোধে বিজিবি সদস্যরা যতই কঠোর হচ্ছে, পাচারকারিরা ততই তাদের নিত্য নতুন কৌশলে এই অবৈধ ব্যবসা অব্যাহত রেখেছে।
এই মালিকবিহীন ইয়াবা উদ্ধার নিয়ে টেকনাফ উপজেলার সচেতন মানুষের মুখে মুখে দেখা দিয়েছে নানা রকম প্রশ্ন। এব্যাপারে টেকনাফের সুশীল সমাজের বেশ কয়েকজন ব্যক্তি অভিমত প্রকাশ করে বলেন, মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা কোটি কোটি টাকার ইয়াবা বিজিবি সদস্যদের হাতে আটক হলেও মুলহোতারা কেন বারবার থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। কেন তারা ধরা পড়ছেনা?
বিজিবি সুত্রে জানা যায়, ২৫ অক্টোবর মঙ্গলবার গভীর রাতে ২ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল আবুজার আল জাহিদের গোপন সংবাদের তথ্য অনুযায়ী টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজির পাড়া বিওপির সদস্যরা বিশেষ অভিযান চালিয়ে নাফনদী সংলগ্ন মগপাড়া এলাকা থেকে এক লক্ষ মালিকবিহীন ইয়াবা উদ্ধার করে। এই সময় বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্নেল আবুজার আল জাহিদ আমাদের রামু কে জানান, গত মঙ্গলবার গভীর রাত দেড় টার দিকে মিয়ানমার থেকে আসা ইয়াবা পাচারের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির একটি টিম নাজির পাড়া এলাকায় পাচারকারিদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করে। কিন্তু পাচারকারিরা বিজিবির অভিযানের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।
এর পর উক্ত স্থান তল্লাশি করে পাচারকারিদের পেলে যাওয়া এক লক্ষ ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তিনি আরো জানান, ইয়াবা ব্যবসায় যারা জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
তবে এই সমস্ত ইয়াবা পাচারকারিদের ধরতে হলে এলাকার জনপ্রতিনিধি সহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।